দেশের পুঁজিবাজার এখন চরম দুর্দশা পার করছে। টানা মন্দার কারণে বিনিয়োগকারীরা হতাশয় ভুগছেন। করোনাপরবর্তীকালে বর্তমানে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। দুটি বিষয়ই পুঁজিবাজারের জন্য অশনি সংকেত হিসেবে হাজির হয়েছে। এখন কেবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউপিটিজ অ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) একার পক্ষে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে না। দরকার সমন্বিত উদ্যোগ।
দেশের অর্থনীতিতেও বিশ্বমন্দার প্রভাব পড়ছে। বর্তমানযুগে একটি দেশ কেবল নিজে নিজে চলতে পারে না। সারা বিশ্বই এখন একটি গ্রামে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে তথ্য প্রযুক্তি ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন হয়েছে। ফলে কোনো দেশ বিচ্ছিন্নভাবে তার অর্থনীতি সচল রাখতে পারবে না। এমন বাস্তবতায় আমাদের অর্থনীতি ও পুঁজিবাজার নিয়ে সৃজনশীল পরিকল্পনা প্রয়োজন। এর জন্য সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সমন্বিত উদ্যোগ খুবই জরুরি।
এখম সময় এসেছে নীতির্নিধারকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে একটি উন্নত পরিকল্পনা দাঁড় করানোর। যার মধ্য দিয়ে পুঁজিবাজার একটি সঠিক নির্দেশনা পেতে পারে। সংকটকালে ঐক্যবদ্ধ চেষ্টা খুব বেশি ফলদায়ক হয়। এটি অতীতে প্রমাণিত বিষয়। তাই আমরা বলবো, আসুন সকল পক্ষ বসুন এবং পুঁজিবাজারের স্বার্থে কিছু একটা করুন।