স্বাধীনতার পর থেকে দেশের অর্থনীতি ক্রম বিকাশমান। সামনে দেশ মধ্যম আয়ের অর্থনীতিতে যাচ্ছে। এর জন্য শিল্প খাত আরও বিস্তৃত হওয়া দরকার। এতে দেশের অর্থনীতি ভারসাম্যপূর্ণ হবে। তাছাড়া বৈশ্বিক অর্থনীতি ও পুঁজিবাজারের দিকে তাকালে দেখা যাবে আমাদের এখানে অনেক ক্ষেত্রে এখনও সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব হয়নি। বিশেষ করে দেশের পুঁজিবাজার নানা দিক থেকে এখনও আরও মজবুত হওয়া দরকার। এর আকার আরও বাড়তে পারে। তাই সঠিক পরিকল্পনা করে পুঁজিবাজারকে টেকসই ও স্থিতিশীল করতে হবে।
বর্তমানে বাজারে যে অগ্রগতির ধারা চলছে এটিকে ধরে রাখতে হবে। এখনও বাজারে অনেক শেয়ার অবমূল্যায়িত। এ জন্য সূচক ও লেনদেন বাড়ার বিষয়টি খুবই যৌক্তিক। তবে একতরফা বা যেনতেনভাবে এটি হওয়া কাম্য নয়। হতে হবে বাজারের স্বাভাবিক গতিশীলতার মধ্য দিয়ে। ফলে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়, এমন ধরনের তৎপরতা বন্ধ করতে হবে। বন্ধ করতে হবে কারসাজি বা প্রতারণা। বিনিয়োগ বাড়লে বাজারে ঝুঁকি তৈরি হয় না। নিয়মের মাধ্যমে বাজার চললে, অনিয়ম বন্ধ করা গেলে আতঙ্কের কিছু নেই। এ জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সতর্ক পদক্ষেপ থাকতে হবে।