২০১০ সালের ধসের পর ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের পুঁজিবাজার। শুধু ঘুরে দাঁড়ানো নয়, বাজারে উত্থানের পাশাপাশি একাধিক রেকর্ডও হয়েছে। বাজারের মূলধন ও মূল্যসূচক গত সপ্তাহে আরও উচ্চতায় পৌঁছে গেছে। প্রধান মূল্যসূচক ৭ হাজার পয়েন্ট ছড়িয়েছে। যা ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এদিকে ব্যক্তি বিনিয়োগকারীর পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগও বাড়ছে। এই অবস্থায় পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সাংঘর্ষিক পদক্ষেপ কাম্য নয়। এমন ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত আসা উচিত নয়, যার প্রভাবে পুঁজিবাজারে অহেতুক ভীতি সৃষ্টি হতে পারে।
দেশের পুঁজিবাজারে ২০১০ সালের মতো কোনও অঘটন ঘটুক সেটি আমরা অবশ্যই চাই না। তবে আশা করবো এই বিষয়টিতে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান সক্রিয় ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলো বিনিয়োগ খতিয়ে দেখতে চাচ্ছে বলে জানা গেছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এখতিয়ার রয়েছে ব্যাংকগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার। তবে সেটি যেনো পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থায় সাংঘর্ষিক কিছু না হয়।
সম্প্রতি পুঁজিবাজারের যেটুকু অগ্রগতি, তার জন্য অনেক সময় ব্যয় করতে হয়েছে। গত প্রায় দশ বছর ধরে বাজারে বিভিন্ন ধরনের সংকট ছিল। এটি কাটিয়ে উঠতে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। তাই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কোনো ধরনের সমন্বয়হীনতা যেনো বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি না করে সে বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত।