করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে মন্দা দেখে দিয়েছে। আমাদের দেশও এর বাইরে নেই। দেশের অর্থনীতির মূল স্তম্ভগুলো করোনার কারণে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। বিশেষ করে শিল্প-কারখানা স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংকট পার করছে। তাই সবকিছু বিবেচনায় আসন্ন বাজেট হওয়া উচিত অনেক বেশি পরিকল্পিত। অন্যান্য বছর আমরা যে বাজেট পাই, এবার তেমনটি সব জায়গায় নাও হতে পারে। কারণ এবার সরকারকে অনেক ভেবে-চিন্তে বাজেট পাশ করানো উচিত। বিশেষ করে দেশের ভঙ্গুর পুঁজিবাজারকে যাতে চলমান মন্দা অর্থনীতির সহায়ক করা যায়, বাজেটে তেমন চিন্তা থাকা জরুরি। শিল্পখাত চাঙ্গা হওয়ার সঙ্গে পুঁজিবাজর যুক্ত। তাই এক্ষেত্রে বাজেটটি হওয়া কাম্য পুঁজিবাজারবান্ধব। এছড়া দীর্ঘ সময় ধরে পুঁজিবাজার সংকটে রয়েছে। এ বিষয়টিও ভাবনায় নেয়া প্রয়োজন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এমন সংকট আমরা দেখিনি। গোটা বিশ্বের জন্যই এই সংকট নতুন। তাই বাস্তবতার নিরিখে বাজেটকে দেখাটাই হতে পারে উত্তম পদক্ষেপ। এর মধ্য দিয়ে কেবল পুঁজিবাজারই নয় গোটা অর্থনীতিতে গতিশীলতা আসতে পারে। একইসঙ্গে লাখ লাখ বিনিয়োগকারীর মধ্যে সক্রিয়তা সৃষ্টি হলে তারাও শিল্পায়নে সহয়ক ভূমিকা রাখতে পারে। যা শেষ পর্যন্ত দেশের জন্যই কল্যাণকর।