পরিচালকদের ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ: বাস্তবায়নে বাধা কোথায়

একই কথা বারবার লিখলে পাঠকের ক্লান্তি আসা স্বাভাবিক। তারপও কিছু বিষয় এড়িয়ে যাওয়া যায় না। কারণ সংশ্লিষ্টদের গাফিলতির কারণে যদি সমস্যা থেকেই যায়, তখন বারবার না লিখে উপায় নেই। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৪০টিরও বেশি কোম্পানির পরিচালকের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার নেই। অনেক কোম্পানির পরিচালক ৩০ শতাংশের নিচে শেয়ার থাকা স্বত্তেও ঘোষণা ছাড়া শেয়ার বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি ৩০ শতাংশের নিচে শেয়ার থাকা স্বত্তেও ঘোষণা ছাড়া শেয়ার বিক্রি করায় এক পরিচালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আরও অনেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানা যায়।
আমাদের জানার বিষয় হচ্ছে- সিদ্ধান্ত দ্রæত বাস্তবায়ন হওয়ার ক্ষেত্রে বাধা কোথায়? দেশে অনেক ঘটনাইতে রাতারাতি ঘটে। অনিয়ম করে শতকোটি টাকার মালিক হতেও সময় লাগে না। কিন্তু পুঁজিবাজারের মতো স্পর্শকাতর জায়গায় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ধীর গতি কেনো? যেখানে সেকেÐের মধ্যে অনেক বড় কিছু ঘটে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
এছাড়া পরিচালকরাই কীভাবে আইন অমান্য করার চিন্তা করেন? এটি সংশ্লিষ্টদের গুরুত্ব দিয়ে ভাবা প্রয়োজন। আরও একটি বিষয় হচ্ছে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। আইন লঙ্ঘনকারীকে এমন শাস্তি দেয়া প্রয়োজন যা দেখে অন্যরাও ঠিক পথে চলতে শুরু করবেন। শুধুই আর্থিক জরিমানা বা পদচ্যুত করা নয় কারাভোগের ব্যবস্থাও থাকা উচিত। উন্নতবিশে^ এসব অনিয়মের কারণে প্রায়ই কারাদÐে দÐিত করা হয়। এক্ষেত্রে আইনি দুর্বলতা থাকলে সেটিও কাটানো দরকার। তা হলেই আমরা সমস্যা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে পেতে পারি। এটি দ্রæত হওয়া প্রয়োজন। ২০১১ থেকে এখন ২০১৯, এই লম্বা সময় ধরে বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারে সুশাসন দাবি করে আসছেন। এখন এর অবসান হওয়া প্রয়োজন।

Tagged