গত সপ্তাহের প্রথম তিন কার্যদিবস পুঁজিবাজার টানা ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও শেষ দুই কার্যদিবস ভালো গেলো না। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্যসূচক কমেছে। সেইসঙ্গে ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এর মাধ্যমে টানা দুই কার্যদিবস দরপতন হলো।
মূল্যসূচক ও লেনদেন কমার পাশাপাশি দুই বাজারেই যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে, কমেছে তার থেকে বেশি। অবশ্য দাম বাড়া বা কমার তুলনায় দাম অপরিবর্তিত থাকা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা আগের মতোই বেশি রয়েছে।
দাম অপরিবর্তিত থাকা এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোর প্রাইসে (সর্বনিম্ন দাম) আটকে রয়েছে। ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকা এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের ক্রেতার দেখা তেমন একটা পাওয়া যাচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৪ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের শুরুতে দেখা দেওয়া এ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লেনদেনের প্রথম ঘণ্টাজুড়েই অব্যাহত থাকে।
কিন্তু প্রথম ঘণ্টার লেনদেন শেষ হতেই শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়ান এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীরা। এতে বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমে যায়। ফলে নিচের দিকে নেমে যায় সূচক। সেইসঙ্গে বড় হয় দরপতনের তালিকা। যা অব্যাহত থাকে লেনদেনের শেষপর্যন্ত।
এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ৩৬ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৫৩টির। আর ২৩৪টির দাম অপরবর্তিত রয়েছে। ফলে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৫৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আজকের বাজার চিত্র কেমন যাবে সেটিই দেখার বিষয়।