পতনের বৃত্তে আটকা পড়ে গেছেন বিনিয়োগারীরা

পরপর দুই দিন বড় পতন হয়েছে দেশের উভয় পুঁজিবাজারে। কোম্পানির মৌলভিত্তি, আর্থিক পরিস্থিতি বিবেচনা ছাড়াই ঢালাওভাবে দর পতন হচ্ছে। এতে ভালো ভালো কোম্পানির শেয়ারদরও কমছে। কিন্তু এই কম দরে শেয়ারগুলো ক্রয় করতে পারছে না বিনিয়োগকারীরা। কারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে এখন তারল্য নেই। আগে যে বিনিয়োগ করেছেন, বাজারের দীর্ঘ পতনের ফলে তাদের সেই বিনিয়োগই আটকে গেছে।

বিনিয়োগকারীরা সেই বিনিয়োগ থেকে চাইলেই বের হতে পারছে না। আর অন্য দিকে ভালো ভালো কোম্পানির শেয়ারদর কমে নাগালের মধ্যে অবস্থান করছে। কিন্তু হাতে তারল্য না থাকায় সেই শেয়ারগুলোতে বিনিয়োগের সুযোগ হাত ছাড়া হচ্ছে তাদের। যার কারণে হতাশ হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।

ভালো কোম্পানির শেয়ারে এখন বিনিয়োগ করার উপযুক্ত সময়। এই সময়ে বিনিয়োগ করতে পারলে ভালোভাবে লাভবান হওয়াও সম্ভব। কিন্তু এখন বেশিরভাগ বিনিয়োগকারীর হাতে অর্থ নেই, যার কারণে নতুন করে তৈরি হওয়া এই সুযোগ কাজে লাগানো যাচ্ছে না। তাই বিনিয়োগকারীদের হতাশা বাড়ছে। তারা পতনের বৃত্তে আটকা পড়ে গেছেন।

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটে দেশের অর্থনীতি নিয়ে নানা উদ্বেগ, জ্বালানি-বিদ্যুৎ সংকট লাঘবে সরকারের নতুন নির্দেশনা ও শেয়ারবাজারে কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার বিষয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দাবি—এসব ইস্যুকে কেন্দ্র করে শেয়ারবাজারের নানা গুজব সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বিনিয়োগকারীরা আরও দরপতন হতে পারে এই ভয়ে শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন বলেই মনে হচ্ছে। আতঙ্ক বা গুজব নয় সত্যিকারভাবে ভালো করে জেনেবুঝে এই সময় লেনদেন করা উচিত বিনিয়োগকারীদের।

Tagged