সাত ধরনের শর্ত না মেনে চলায় দেশের দুই পুঁজিবাজার ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই-সিএসই) তলব করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসির অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর মেহেদী হাসান রনি স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ডিএসই ও সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বরাবর গত ৪ জুলাই পাঠানো হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমে জানা যায়। বিষয়টি খুবই জরুরি এবং গুরুত্বপূর্ণ।
চিঠিতে বলা হয়, বিএসইসির নির্দেশনা অনুসারে, স্টক এক্সচেঞ্জগুলোকে ‘জেড’ ক্যাটাগরির অধীনে লেনদেন করা তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর সব পর্যায়ের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেই সঙ্গে এ বিষয়ে বিএসইসির কাছে প্রতিবেদন পাঠানোর শর্ত রয়েছে। তবে, ২০২০ সালে উল্লিখিত নির্দেশনা জারির পর বিএসইসি এ বিষয়ে স্টক এক্সচেঞ্জের কাছ থেকে গত দুই বছরেও কোনো প্রতিবেদন পায়নি।
চিঠিতে আরও বলা হয়, ২০২০ সালে ১ সেপ্টেম্বর জারি করা নির্দেশনার অন্যান্য শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে— ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানির উদ্যোক্তা বা পরিচালকরা কমিশনের অনুমোদন ছাড়া কোনো ধরনের ক্রয়-বিক্রয়, হস্তান্তর ও বন্ধকি দিতে পারবে না।
‘জেড’ ক্যাটাগরিতে যাওয়ার ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে পর্ষদ পুনর্গঠন করতে হবে। এক্ষেত্রে কমিশন এক বা একাধিক স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেবে। পর্ষদ পুনর্গঠন করতে ব্যর্থ হলে বর্তমান পরিচালক এবং স্পন্সররা অন্য কোনো তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও পুঁজিবাজার মধ্যস্থতাকারী কোনো কোম্পানির পরিচালক হিসেবে থাকতে পারবেন না।
আমরা মনে করি এ বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যকর পদক্ষেপই কাম্য। এতে পুঁজিবাজার উপকৃত হবে।