নিয়ন্ত্রক সংস্থার নড়েচড়ে বসা উচিত

গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরদিন থেকে শেয়ারবাজারে ব্যাপক উত্থান সৃষ্টি হয়েছিল। টানা চার দিন শেয়ারদরে উত্থান হয়। এতে সূচক বেড়েছিল ৭৮৬ পয়েন্ট। এক দিনে শেয়ার কেনাবেচা ২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছিল। মুনাফার আশায় নতুন করে অনেকে বিও অ্যাকাউন্ট খুলে বিনিয়োগ শুরু করেছিলেন। বর্তমানে সাত মাস পর চিত্রটা উল্টো। এ সময়ে অনেকের ২০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ পুঁজি নেই। প্রায় ৭০ শতাংশ দর হারিয়েছে। দৈনিক গড়ে ৫০৫ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, যা গত বছরের এ সময়ে ছিল ৬৭৯ কোটি টাকা।

এরই মধ্যে সংকটে পড়া এস আলম গ্রুপের কোম্পানি এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলের শেয়ারদর মাত্র তিন সপ্তাহে আড়াই গুণ বেড়ে ২৫ টাকা ছাড়ায়। বেক্সিমকো গ্রুপের শাইনপুকুর সিরামিক্স কোম্পানির শেয়ারও একই সময়ে দ্বিগুণ হয়। বহু বছর বন্ধ খুলনা প্রিন্টিংয়ের শেয়ারদর দেড় মাসে ৫ গুণ হয়েছিল। এসব দরবৃদ্ধি স্বাভাবিক  ছিল না, নেপথ্যে ছিল কারসাজি, যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি বর্তমান কমিশন।

তা হলে আমরা দেখলাম পরিবর্তিত বাস্তবতায় পুঁজিবাজারে আশার সঞ্চার হয়নি। নতুন করে নিয়ন্ত্রক সংস্থায় যারা ক্ষমতায় আসলেন, তারা তা হলে কিছু করতে পারলেন না। সাত মাস বেশি সময় না। আবার কম সময়ও বলা যাবে না। এর মধ্যে কিছু বিষয়ে দৃশ্যমান উন্নতি হওয়া প্রয়োজন ছিল। তা হলে বলা যেত তাদেরকে সময় দিতে হবে। এখন সেই কথা বলা যাচ্ছে না। বরং নিয়ন্ত্রক সংস্থার নড়েচড়ে বসা উচিত।

Tagged