দেশের পুঁজিবাজারের পতন ঠেকাতে দ্বিতীয়বারের মতো ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেওয়া হয় গত ২৮ জুলাই। নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিএসইসি বিনিয়োগকারীদের পুঁজি রক্ষার্থে দ্বিতীয় দফায় ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে। কিন্তু দীর্ঘদিন এই সিদ্ধান্ত অব্যাহত থাকার কারণে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
বিনিয়োগকারীরা বলছেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত ৩৯৬টি কোম্পানির মধ্যে গত রোববার ফ্লোর প্রাইজে অবস্থান করছে ২৮৫টি কোম্পানি। যা তালিকাভুক্ত কোম্পানির প্রায় ৭২ শতাংশ। ক্রমাগতভাবে ফ্লোর প্রাইজের কোম্পানির সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে লেনদেনের অবস্থা আরো মারাত্মক হতে পারে। যা ইতিমধ্যে লক্ষণীয়।
সর্বশেষ রোববার ডিএসইতে ২৮৫টি কোম্পানি ফ্লোর প্রাইসে ফেরার কারণে লেনদেনে বড় ভাটা লক্ষ্য করে গেছে। গত দিনের তুলনায় এদিন ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ২০০ কোটি টাকা। কোম্পানিগুলোর ফ্লোর প্রাইজে ফেরার এই মিছিলের ফলে সর্বনাশ হচ্ছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের।
একদিকে কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর বৃদ্ধি পাচ্ছে না, অন্যদিকে মার্জিন ঋণের কারণে ইন্টারেস্ট বেড়েই চলেছে। কিছুদিন পর বিনিয়োগকারীদের পোর্টপোলিও শূন্য হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউজ বিনিয়োগকারীদের ফোর্স সেল দেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছে। এতে করে বিনিয়োগকারীরা নিরুপায় হয়ে পড়েছেন।