পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আবারও তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর স্পন্সর এবং পরিচালকদের পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম ৩০ শতাংশ ধারণ নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়েছে।
সম্প্রতি একটি বৈঠকে বিএসইসি ৭টি তালিকাভুক্ত সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কাছে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে তাদের অসম্মতির বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে।
অন্যদিকে, ৩০ শতাংশ শেয়ার নেই এমন ৬টি কোম্পানিতে দুজন করে স্বাধীন পরিচালক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এছাড়াও, ১৩টি কোম্পানি ৩০ শতাংশ শেয়ার ধাারণ করার জন্য এক বছর সময় পেয়েছে। কারণ কোম্পানিগুলি ৩০ শতাংশ শেয়ার কীভাবে পূরণ করবে, সে বিষয়ে বিএসইসির কাছে পরিকল্পনা জমা দিয়েছে।
কোম্পানিগুলো কেন নিয়মটি সঠিকভাবে অনুসরণ করেনি তার ব্যাখ্যা করা উচিত। এই ধরনের পরিচালকদের কোম্পানি থেকে অপসারণ করা উচিত। আজকে পুঁজিবাজার অস্বাভাবিক আচরণ করছে। এর জন্য অতীতের অনেক অনিয়ম দায়ী। সেসব অনিয়মের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিলে এখন পরিস্থিতি এমন হতো না। ত্রিশ শতাংশ শেয়ার ধারনের বিষয়টিও বিচ্ছিন্ন কোনো বিষয় নয়। এক্ষেত্রে পরিচালকদের গাফিলতি যেমন আছে, তেমনেই নিয়ন্ত্রক সংস্থাও দায় এড়াতে পারে না। সুতরাং এখনও সম্ভব সঠিক পদক্ষেপের মাধ্যমে বিষয়টি বাস্তবায়ন করা।