তারল্য বাড়াতে বড় ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ প্রয়োজন

পুঁজিবাজারের টানা পতন থামানো জন্য দ্বিতীয় বারের মতো ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তবে এখন ফ্লোর প্রাইসে নেমে এসেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার। প্রতিদিনই বাড়ছে ফ্লোর প্রাইসে নামা কোম্পানির সংখ্যা। এতে যেমন কমছে সূচক, কমছে লেনদেনও। পুঁজিবাজারে লেনদেন কমে যাওয়ার মূল কারণ তারল্য সংকট।

বেশিরভাগ কোম্পানি ফ্লোরে অবস্থান করলেও ক্রেতা মিলছে না। এখন পুঁজিবাজারে তারল্য বাড়াতে হবে। তারল্য বাড়লে ফ্লোর প্রাইস থেকে শেয়ারগুলো ওপরের দিকে মুভ করবে। আর শেয়ারদর ওপরের দিকে মুভ করলেই বাজারে লেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। আর লেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে এবং শেয়ার দরে গতি ফিরলে বিনিয়োগকারীদের মাঝে আস্থা তৈরি হবে।

আইসিবিসহ সরকারি ব্যাংকগুলো পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে বাজারকে সাপোর্ট দিলে বাজার ঘুরে দাঁড়াবে। যেহেতু বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর ফ্লোর প্রাইসে অবস্থান করছে। এই খারাপ সময়ে কোন ভাবেই ফ্লোর প্রাইস তুলবে না বিএসইসি। তাই ফ্লোর প্রাইসের নিচে নামতে পারবে না শেয়ারদর। এই সুযোগটা যদি আইসিবিসহ সরকারি ব্যাংকগুলো এবং বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবহার করে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে তাহলে এখান থেকে ভালো মুনাফা করা সম্ভব।

Tagged