তবে কি আত্মহত্যাই করেছিলেন সালমান শাহ?

বিনোদন ডেস্ক:

বাংলা চলচ্চিত্রের ৯০ দশকের সাড়াজাগানো জনপ্রিয় অভিনেতা সালমান শাহ হত্যাকাণ্ডের শিকার হননি, তিনি পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যা করেছিলেন বলে জানিয়েছে তদন্ত সংস্থা পিবিআই।

আজ সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সালমান শাহর হত্যার রহস্য উদঘাটন নিয়ে ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন পিবিআই’র প্রধান বনজ কুমার মজুমদার।

তিনি বলেন, ২০১৬ সালের ২০ ডিসেম্বর আমরা তদন্ত ভার গ্রহণ করি। ২৫ বছর কেটে যাওয়ায় পিবিআই’র অনেক বেশি সময় লেগেছে। এই মামলায় ৪৪ জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করেছি। একজন সাক্ষীকে ২০-৩০ বার ডেকে নিয়ে জবানবন্দি নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। এরমধ্যে ১০ জনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। একজন সাক্ষীকে অন্তত ১০ বার ডেকে নিয়ে এসেছি। কারণ সেই সময়ের স্মৃতি কতটুকু তাদের মনে আছে বুঝার জন্য।

বনজ কুমার মজুমদার বলেন, সেই সময়ের একটি সুইসাইডাল নোট উদ্ধার করা হয়। আমরা সেটা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি। হ্যান্ড রাইটিং এক্সপার্টকে সুইসাইট নোটটি দেখিয়েছি। উনি হাতের লেখা দেখে-তা সালমান শাহর বলে চিহ্নিত করেছেন।
পিআইবি প্রধান বলেন, সালমান যে ফ্যানে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন, আমরা সেটি জব্দ করেছি।

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার (ইমন) ওরফে সালমান শাহ। সে সময় এ বিষয়ে অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছিলেন তার বাবা প্রয়াত কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। পরে ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে মামলাটিকে হত্যা মামলায় রূপান্তরিত করার আবেদন জানান তিনি। অপমৃত্যু মামলার সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের বিষয়টি একসঙ্গে তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন আদালত।

১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় সিআইডি। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সালমান শাহের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়। ২৫ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন গৃহীত হয়। সিআইডির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে তার বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী রিভিশন মামলা দায়ের করেন।

২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠায় আদালত। এরপর প্রায় ১৫ বছর মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে ছিল। ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট ঢাকার সিএমএম আদালতের বিচারক বিকাশ কুমার সাহার কাছে বিচার বিভাগীয় তদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক। এ প্রতিবেদনে সালমান শাহের মৃত্যুকে অপমৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

এসএমজে/২৪/রা

Tagged