পুঁজিবাজারে ঢালওভাবে দরপতন হলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশে বাড়ে। বর্তমান বাজারে তেমনটিই দেখা যাচ্ছে। সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস এবং মাসের শেষ কার্যদিবস সোমবার (৩১ জুলাই) দেশের পুঁজিবাজারে ঢালাও দরপতন হয়েছে। এতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচক কমেছে। সেইসঙ্গে লেনদেনে অংশ নেওয়া যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে তার দ্বিগুণের বেশি। এর মাধ্যমে চলতি সপ্তাহের দুই কার্যদিবসেই দরপতন হলো।
এদিন লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। এতে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক দুই পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে, লেনদেনের সময় কয়েক মিনিট না গড়াতেই একের পর এক বিমা কোম্পানির শেয়ার দাম কমতে থাকে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে সূচকের ওপর।
এমন চিত্র সম্প্রতি ঘুরেফিরেই দেখা যাচ্ছে পুঁজিবাজারে। এতে বিনিয়োগকারীদের হতাশা বাড়ছে। এটি শেষ পর্যন্ত পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতার পথে প্রতিবন্ধকতা। বিশেষ করে বাছ-বিচারহীনভাবে সব কোম্পানির দরপতন কাম্য নয়। এর ফলে বিনিয়োগে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়। এই প্রবণতা থেকে বাজার বের হয়ে আসতে না পারলে স্থিতিশীলতাও আসবে না। তাই সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি ভেবে দেখা প্রয়োজন।