দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মেরুদণ্ড শক্ত হওয়া প্রয়োজন। কেবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) একার পক্ষে পুঁজিবাজার কারসাজিমুক্ত করা সম্ভব নয়। বিশেষ করে বর্তমান ডিজিটাল সময়ে অনেক ধরনের প্রযুক্তিগত সুবিধা রয়েছে। এসব সুবিধা কাজে লাগিয়ে কারসাজির অনেক নেপথ্য খবর সংগ্রহ করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে সবার আগে দরকার পুঁজিবাজার কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতা। কিন্তু ডিএসই এসব বিষয়ে কতটা আন্তরিক, সেটি নিয়ে ভাবার সুযোগ রয়েছে। তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের অযৌক্তিকভাবে দর বাড়লো আর একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হলো, এর মধ্যেই সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে এমনটি ভাবার কারণ নেই।
একটা কথা আছে, যত বড় কুমির তত বড় মুগুর থাকা দরকার। বিশেষ করে কারসাজি চক্র যদি ডিএসইর থেকে চতুরতায় এগিয়ে থাকে তা হলে হবে না। বরং এগিয়ে থাকতে হবে ডিএসই। তা হলে পুঁজিবাজর থেকে কারসাজি দূর করা সম্ভব। বিষয়টি অনেক বিনিয়োগকারীই জানেন। ডিএসসিরও এটি জানা থাকার কথা। তারপরও দেখা গেছে, বিনিয়োগকারীদের বড় ধরনের সর্বনাশ হওয়ার পরও পুঁজিবাজার কর্তৃপক্ষ ততটা কার্যকর কিছু করতে পারছে না। এই সীমাবদ্ধতা দূর করতে হবে।