টি-জিরো বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি

কথায় আছে- ‘সময়ের এক ফোঁড়, অসময়ের দশ ফোঁড়।’ সময় মতো কোনো উদ্যোগ নিতে না পারলে পরে এটি বহুগুণ শ্রমসাধ্য হয়ে পড়ে। আমাদের দেশে এ ধরনের নজির বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায়। এ কারণে সঠিক লক্ষ্যে পোঁছানোটা কঠিন হয়ে পড়ে। দেশের পুঁজিবাজারেও এমন ধরনের নজির হরহামেশাই দেখা যায়। তেমনই একটি বিষয় হচ্ছে- ‘টি-টু’ ট্রেটিং পদ্ধতি। এখন এটি বদলানোর সময়ের দাবি।

পুঁজিবাজারে টি-টু বহাল থাকায় শেয়ার কেনা-বেচা সম্পন্ন হতে দুই-তিন দিন লেগে যায়। এটি উন্নত দেশের পুঁজিবাজারগুলোয় নেই। কিন্তু আমাদের দেশে বিষয়টি নিয়ে তেমন কোনো ভাবনা নেই সংশ্লিষ্টদের মধ্যে। আমরা বহুদিন ধরে লিখে আসছি, টি-টু নয়, টি-জিরো করা হোক লেনদেন নিষ্পত্তিকাল। ডিজিটাল যুগে এটি বড় ধরনের প্রতিবন্ধক পদ্ধতি। এর থেকে বের হয়ে আসা দরকার।

এখন একটি মাত্র ক্লিকেই দুনিয়া খুলে যায়। মানুষ চাইলেই মুহূর্তের মধ্যে সবকিছু হাতের নাগালে পেয়ে যায়। এমন সময় শেয়ার কেনা-বেচার ক্ষেত্রে এই দীর্ঘ অপেক্ষা কেনো? এই অযৌক্তিক সময় ক্ষেপণ কবে বন্ধ হবে? এখনই বিষয়টির সুরাহা হওয়া দরকার। একটি সময় উপযোগী পুঁজিবাজারের জন্য এটি অপরিহার্য বিষয় এটি। তাই আমরা চাই, সংশ্লিষ্টদের বোধোদয় হোক।

Tagged