জেড ক্যাটাগরির শেয়ার লেনদেনে নতুন নির্দেশনা কার্যকর

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পুঁজিবাজারে মূলত দুর্বল মৌলভিত্তির কোম্পানি হিসেবে পরিচিত, জেড ক্যাটাগরির শেয়ার  বিনিয়োগকারীদের সুবিধার্থে লেনদেন সহজ করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আজ বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) থেকে বিষয়টি কার্যকর হবে।

নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী জেড ক্যাটাগরির শেয়ারের লেনদেন টি প্লাস থ্রি (T+3) ভিত্তিতে সম্পন্ন হবে। এর আগে এই ক্যাটাগরির শেয়ার লেনদেন সম্পন্ন হতো টি প্লাস নাইন (T+9) ভিত্তিতে।

গত ১৩ আগস্ট,  বিএসইসির কমিশন সভায় জেড ক্যাটাগরির শেয়ারের লেনদেন সম্পন্ন করার সময় কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সাথে জেড ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলোতেও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি।

তবে নীতিগত সিদ্ধান্ত হলেও এই বিষয়ে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় তা কার্যকর হয়নি। গতকাল (১ সেপ্টেম্বর) বিকালে বিএসইসি আলোচিত প্রজ্ঞাপন জারি করায় আজ থেকেই সিদ্ধান্তটি কার্যকর হচ্ছে।

নতুন সিদ্ধান্তের ফলে শেয়ার কেনার চতুর্থদিনে বিনিয়োগকারীর বিও হিসাবে ওই শেয়ার জমা হবে। সেইসাথে কোনো বিনিয়োগকারী শেয়ার বিক্রি করলে চতুর্থ দিনে তার টাকা পাবেন। এতদিন দশম দিনে শেয়ার বা টাকা পাওয়া যেত।

বর্তমানে জেড ক্যাটাগরি ছাড়া অন্য ক্যাটাগরির (এ, বি ও এন) শেয়ার লেনদেনের নিষ্পত্তি হয় টি প্লাস ২ ভিত্তিতে।

দুর্বল মৌলভিত্তির শেয়ার নিয়ে কারসাজি কমানোর লক্ষ্যে ২০১৩ সালে জেড ক্যাটাগরির লেনদেন সম্পন্নের সময় বাড়িয়ে টি প্লাস নাইন করা হয়।

স্টক এক্সচেঞ্জের স্যাটেলমেন্ট অব ট্রান্সজেকশন রেগুলেশন, ২০১৩ অনুসারে কোনো কোম্পানি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা না করলে কিংবা লভ্যাংশ ঘোষণা করলেও নির্ধারিত সময়ে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আয়োজনে অক্ষম হলে, ছয় মাসের বেশি সময় ধরে উৎপাদন বা ব্যবসা বন্ধ থাকলে অথবা কোম্পানির পুঞ্জীভুত লোকসান তার পরিশোধিত মূলধনকে ছাড়িয়ে গেলে ওই কোম্পানিকে জেড ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সূত্র: বিএসইসি

এসএমজে/২৪/ঝি

Tagged