বর্তমান পুঁজিবাজারের অগ্রগতি যেনো একটি ছকে বাঁধা পড়ে আছে। একটি নির্দষ্ট সীমার মধ্যে সূচক আর লেনদেন ঘুরছে। এর থেকে বের হওয়া প্রয়োজন। গোটা অর্থনীতির অগ্রগতির সঙ্গে পুঁজিবাজারের ভারসাম্য তৈরি হওয়া দরকার। সে হিসেবে পুঁজিবাজার এগোচ্ছে কম। আশানুরূপ অগ্রগতি না হলে বাজার স্থিতিশীল হবে না। স্থিতিশীলতার জন্য বাজার চিত্রে গুণগত পরিবর্তন দরকার। তা না হলে আবারও সংকট সৃষ্টি হতে পারে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) পুনর্গঠন হওয়ার পর বাজারে কিছুটা গতির সঞ্চার হলেও এ যেনো একটা নির্দিষ্ট সীমায় এসে থমকে গেছে। সূচক কেবল ৪-৫ হাজার পয়েন্টের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। একই সময়ের ব্যবধানে আন্তর্জাতিক পুঁজিবাজারে সূচকের বেশ উন্নতি হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে সেটি সম্ভব হয়নি। গত দশ বছর ধরে সূচক প্রায় একই অবস্থায় রয়েছে। এটি স্বাভাবিক পুঁজিবাজারের লক্ষণ নয়। এছাড়া লেনদের অংক ৫শ থেকে হাজার কোটি টাকায় চক্কর খাচ্ছে। এটিও এক ধরনের ছকে পড়ে আছে। ফলে আশানুরূপ উন্নতি এখনও অনেক দূরের ব্যাপার। এর জন্য অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে।