এক জীবনে মানুষের আর কত চাই? টাকা, বাড়ি, গাড়ি, সম্পদের জন্য মানুষ কতকিছুইনা করছে! এই নিয়ে পৃথিবীজুড়ে মারা-মারি হানাহানি আর যত যুদ্ধ হচ্ছে। পৃথিবীর ফুসফুস খ্যাত আমাজন বন পুড়ছে, জলবায়ু ধ্বংসের কারণে মানবসভ্যতাই এখন হুমকির মুখে। এভাবে চলতে থাকলে হয়তো এক সময় পৃথিবী নামক গ্রহটিই আর বাসযোগ্য থাকবে না। তখন কী করবে মানুষ? এ সবইতো হচ্ছে মানুষের ‘আরো চাই, আরো চাই’ মানসিকতার কারণে। পরিস্থিতি দেখে মনে হয়, পৃথিবী শেষ হয়ে গেলেও মানুষের চাওয়ার শেষ হবে না! এই ‘আরো চাই, আরো চাই’ মানসিকতা থেকে মুক্ত নয় দেশের পুঁজিবাজারও। এখানেও দেখা যায় ‘চাই-চাই খাই-খাই’ অবস্থা।
দেশের পুঁজিবাজারের দিকে তাকালে দেখা যায়- নিয়মের বাইরে গিয়ে অতি মুনাফা করার প্রবণতা কারো কারো মধ্যে কাজ করে। সারা পৃথিবীতে পুঁজিবাজারকে অর্থনীতির হৃদপিণ্ড মনে করা হয়। অথচ আমাদের দেশে এই হৃদপিণ্ডকে বারবার ক্ষতবিক্ষত করা হচ্ছে। এতে প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক- আর কি কোনো জায়গা নেই? এখানেই কেনো এতো কারসাজি, এতো অনিয়ম? যারা এর সঙ্গে যুক্ত তাদের চাওয়ার শেষ কোথায়?
দেশের পুঁজিবাজারকে এক শ্রেণির মানুষ এবং কোম্পানি যেনতেন উপায়ে দ্রুত মুনাফা হাতিয়ে নেয়ার ক্ষেত্র মনে করে। এ ধরনের কাজ শুধু পুঁজিবাজারই নয়, দেশেরও স্বার্থ পরিপন্থী।
আমরা মনে করি, বৈধ ও ন্যায্যভাবে পুঁজিবাজার চললে এর প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে। কারণ এখানে সঠিক পদ্ধতিতে বিনিয়োগ করে মানুষ তার ভাগ্যের উন্নতি করতে পারে। আর মানুষের উন্নয়ন শেষ পর্যন্ত দেশেরই উন্নয়ন। তাই দেশ ও মানুষের স্বার্থে পুঁজিবাজারে সব ধরনের কারসাজি, অনিয়ম বন্ধ করাই কাম্য। যত দ্রুত সম্ভব সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।
ব্রেকিং নিউজ :