চমক সৃষ্টি করে পুঁজিবাজার ধরে রাখা যাবে না

দেশের পুঁজিবাজারে কোনো ধরনের চমক সৃষ্টি করে স্থায়ী উন্নতি সম্ভব নয়। সাময়িক কিছুটা কাজ হলেও পড়ে ক্ষতি আরও বেশি হতে পারে। সুতরাং যেভাবেই হোক পুঁজিবাজারকে স্বাভিক ধারায় স্থিতিশীল রাখতে হবে। প্রকৃত অবস্থা যাতে বিনিয়োগকারী বুঝতে পারে সেই ধরনের স্বচ্ছতা বাজায় রাখাটাই কাম্য। একমাস দুইমাস পতনের পর হঠাৎ একদিন সূচক শত পয়েন্ট বেড়ে গেলে, এটি সঠিক নয়। যুক্তিযুক্তভাবে অর্থনীতির গতিধারায় বাজার কিছুটা হেরফের হবে। এতে আতঙ্কিত হওয়ারও কিছু নেই।

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার সূচকের বড় উত্থান হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এদিন ১২৪ পয়েন্ট বা সোয়া ২ শতাংশের বেশি বেড়েছে। গত দুই বছরের মধ্যে এটিই ঢাকার বাজারে এক দিনে সূচকের সর্বোচ্চ উত্থান। এর আগে ২০২২ সালে ৩১ জুলাই এই সূচক ১৫৪ পয়েন্ট বা আড়াই শতাংশ বেড়েছিল।

বেশ কিছুদিন ধরে বাজারে টানা দরপতন চলছিল। এই পতনের ফলে বাজার যেখানে নেমে এসেছিল, তার কোনো যৌক্তিক কারণ ছিল না। এ অবস্থায় আমরা আশা করেছিলাম, নির্বাচনের পর বাজার কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়াবে। কিন্তু সেটি হয়নি, উল্টো দরপতন অব্যাহত ছিল। এ অবস্থায় বাজার ঘুরে দাঁড়ানোটা সময়ের দাবি ছিল। এমন পরিস্থিতিতে সরকারি কর্মচারীদের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ তৈরির খবরটি বাজার ঘুরে দাঁড়াতে বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে। বাজেটে শেয়ারবাজারে ৫০ লাখ টাকার বেশি মূলধনি মুনাফার ওপর করারোপ করা হয়েছে। সেই নেতিবাচক খবরকে পাস কাটিয়ে সরকারি কর্মচারীদের বিনিয়োগের উদ্যোগের খবরটি বড় ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। তবে সত্যিকার অর্থে কোনো ধরনের চমক দিয়ে হবে না। বাজারকে তার স্বাভাবিক গতিতে চলতে দিতে হবে।

Tagged