গুরু পাপে লঘু দণ্ড কাম্য নয়

গুরু পাপে লঘু দণ্ড আমাদের দেশে নতুন নয়। এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটতে দেখা যায়। কোটি টাকার দুর্নীতি করে কেউ যদি স্বল্পদণ্ডে পার পেয়ে যায়, তাহলে সেই দুর্নীতি কখনোই রোধ করা যাবে না। বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের ক্ষেত্রেও অনেক সময় এমনটি দেখা যায়। কোনো কোনো কোম্পানি বড় ধরনের অনিয়ম করে সামান্য জরিমানা দিয়ে ছাড় পেয়ে যাচ্ছে। এভাবে কখনো অনিয়ম দূর হবে না। এছাড়া শুধু অনিয়মের অর্থমূল্য নয়, নৈতিকতার বিষয়টিও দেখতে হবে। কেউ যদি অনিয়ম করে পার পেয়ে যায়, এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে সমাজে। এতেও দেশের ক্ষতি হয়। এ ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ হবে কীভাবে? সুতরাং পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং সংশ্লিষ্টদের এসব বিষয়ও ভাবনায় রাখা প্রয়োজন। একটি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, আইন-কানুন, সামাজিক মূল্যবোধ সবকিছুতেই নৈতিকতার মাপকাঠি থাকে। বিষয়গুলো এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।
আমাদের পুঁজিবাজারে যখনই বড় ধরনের ‘পুকুর চুরি’র মতো ঘটনা ঘটছে, আমরা সরব হচ্ছি, লেখা-লেখি হয়েছে, বক্তৃতা দেয়া হয়েছে কিন্তু অনিয়ম বা কারসাজির উপযুক্ত শাস্তি হয়নি। এ কারণে একদিকে কারসাজিচক্র উৎসাহিত হয়, অন্যদিকে নিয়ম মেনে যারা পুঁজিবাজারে থাকতে চান তারা এবং বিনিয়োগকারীরা হতাশ হন। সেই হতাশা অনেক সময় ক্ষোভে পরিণত হয়। দেশাবাসী এই চিত্র আগেই দেখেছে। বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নেমেছেন, সভা-সমাবেশ-বিক্ষোভ করেছেন কিন্তু পরিস্থিতি খুব একটা বদলায়নি। তাই এখন সব ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপই হতে পারে প্রত্যাশিত।