বাংলাদেশের পুঁজিবাজার গত প্রায় এক দশক ধরে ক্ষত-বিক্ষত। বর্তমানে এই ক্ষত প্রায় ক্যানন্সারে রূপ নিচ্ছে। আর দেরি করার সুযোগ নেই। এখনই সময় পুঁজিবাজারের খোল নলচে বদলে ফেলার। এটি করার সক্ষমতা বর্তমান বাজার কর্তৃপক্ষ কিংবা নিয়ন্ত্রক সংস্থার নেই। সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে- এমন প্রত্যাশাই সৃষ্টি হয়েছে লাখ-লাখ বিনিয়োগকারী এবং বাজার সংশ্লিষ্টদের মধ্যে। দেশের সব মানুষই এখন স্পষ্ট কথা শুনতে চায়, সরাসরি পদক্ষেপ দেখতে চায়।
মানুষের প্রত্যাশা- দুর্নীতিবাজ, বিতর্কিত, অদক্ষদের পুঁজিবাজার থেকে সরিয়ে নেয়া হোক। এরপর বসানো হোক- সৎ, যোগ্য এবং দেশপ্রেমিকদের। এক্ষেত্রে বিচ্ছিন্নভাবে ব্যক্তিবিশেষ নয়, আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন। যার মাধ্যমে পুঁজিবাজারের নতুন আশার সঞ্চার হবে।
সমুদ্রে এক চিমটি চিনি ফেলে নোনতা কমানো যাবে না। বর্তমান পুঁজিবাজারের অবস্থাও তাই। এখানে এক-দুটি পরিবর্তন করে অনিয়ম কমানো সম্ভব হবে না। কারণ কারসাজি ও অনিয়ম একাট্টা হয়ে একটি বড় ধরনের সিন্ডিকেটে পরিণত হয়েছে। ঝাড়ু দিয়ে এই সিন্ডিকেট সরানো যাবে না। শক্তিশালী স্কেভেটর দিয়ে সজোরে ধাক্কা দিতে হবে। সম্প্রতি ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানে যেমনটি হয়েছে। এতে পুঁজিবাজার জঞ্জাল মুক্ত হবে এবং জনমানুষর মধ্যে স্বস্তি আসবে। এক্ষেত্রে সরকার আন্তরিক হলে সবকিছুই সম্ভব বলে দেশবাসীর মতো আমাদেরও ধারণা।