পুঁজিবাজার লাভ-লোকসানের জায়গা। একই সমপরিমাণ বিনিয়োগ করে কেউ লাভ করছেন, কেউ আবার পাততারি গুটিয়ে নিচ্ছেন। এ দায় সবটাই পুঁজিবাজারের উপর চাপালে হবে না। বিনিয়োগকারীরও দায় রয়েছে। কারণ পুঁজিবাজার শক্তিশালী ও দুর্বল দুই ধরনের কোম্পানিই তালিকাভুক্ত থাকে। এখান থেকে বাছাই করে বিনিয়োগ করাটা বুদ্ধিমান বিনিয়োগকারীর কাজ। সেই কাজটি তিনি কতটা দক্ষতার সঙ্গে করতে পারলেন, সেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পুঁজিবাজারে এক মিনিট আগে-পরে সিদ্ধান্তের কারণে অনেক কিছু হতে পারে। তারপরও অস্থিরতার জায়গা এটি নয়। ভাবনাটি আগে থেকেই ভেবে রাখতে হবে। বিশেষ করে কোম্পানি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য বিনিয়োগকারীর জানা থাকা দরকার। অন্তত একটি কোম্পানির বিগত পাঁচ বছরের অবস্থা জানা থাকা দরকার। কোম্পনি কী ধরনের পণ্য উৎপাদন করে, তার বাজার কতটা বিস্তৃত, পরিচালনা পর্ষদে কারা রয়েছেন, তাদের সুনাম কেমন, কী ধরনের লভ্যাংশ দিয়ে আসছে এসব বিবেচনায় নিয়ে বিনিয়োগ করা প্রয়োজন। তা হলে কম ঝুঁকিতে থাকা ও মুনাফা বের করে নেওয়া সম্ভব। এ কারণে বিনিয়োগকারীদের খুবই চৌকস হতে হবে। আর যদি কোম্পানি বাছাইয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া না যায়, তা হলে বাকি কাজটুকু সব সময়ই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়।