কোথায় দাঁড়াবেন বিনিয়োগকারীরা?

‘বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে’ উক্তিটির মর্মার্থ ব্যাখা করা বাহুল্য। আমাদের সমাজে অনেক ক্ষেত্রেই যার যেখানে থাকার কথা সে সেখানে নেই। যে অপরাধীর জেলে থাকার কথা তিনি ঘুরছেন লোকালয়ে, যে শিশুর বিদ্যালয়ে থাকার কথা সে কাজ করছে হোটেল শ্রমিকের। কারো হয়তো প্রতিষ্ঠান প্রধান হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে তিনি কাজ করছেন অধস্তন হিসেবে- এভাবে লিখতে গেলে তালিকা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতম হবে। মূল কথা হচ্ছে, যার যেখানে থাকার কথা সে সেখানে নেই। এতে কাজের উদ্দেশ্য ব্যহত হয়। আমাদের পুঁজিবাজারের অবস্থাও অনেকটা তাই। বর্তমানে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা থাকবেন ব্রোকাজের হাউজ কিংবা সংশ্লিষ্ট স্থানে। কিন্তু তারা রয়েছেন রাস্তায়। এবারই শুধু নয়। আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। আবার পুঁজিবার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোয়ও যাদের থাকার কথা নয় বা যোগ্যতা নেই, তারা বসে আছেন চেয়ারে এবং অনেক যোগ্য লোকও হয়তো পাওয়া যাবে সেখানে তাদের স্থান হচ্ছে না।

পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছেন, এটি কাম্য নয়।  শুধু এবারই নয় আগেও দেখা গেছে পুঁজিবাজারের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে বিনিয়োগকারীরা রাস্তা নেমেছেন। সম্প্রতি ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা দরপতনের প্রতিবাদ ও বিভিন্ন দাবি নিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সামনে বিক্ষোভ করেছেন। প্রথম দিন বিক্ষোভ করলেও দ্বিতীয় দিন পারেননি। এদিন বাংলাদেশ বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের নেতাদের থানা পুলিশে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তিন ঘণ্টা পরে তারা থানা থেকে বের হয়ে আসেন।

এদিকে প্রতিবাদী বিনিয়োগকারীদের দাবি- তারা টানা দরপতনে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব। কোনো উপায় না থাকায় তারা রাস্তায় নেমেছেন। এটি করতে না পারলে দাবি-দাওয়া নিয়ে তারা কোথায় দাঁড়াবেন? এ প্রশ্নও অমূলক নয়।

Tagged