কারসাজির হোতারা কতদিন ধরাছোাঁয়ার বাইরে থাকবে

পুঁজিবাজারে কারসাজির হোতারা আর কতদিন ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবেন? এই প্রশ্ন এখন সবারে আগে করতে হবে। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন খাতে অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এখন শেয়ারবাজারেও শুদ্ধি অভিযান চালানোর সময় হয়েছে। যারা যুগ যুগ ধরে কারসাজি করে বাজার থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন, তাদের আর সুযোগ দেওয়ার কোনো পথই খোলা রাখা উচিত নয়। এখন দ্রুত তাদের ধরা প্রয়োজন।

সম্প্রতি অর্থনীতির নিয়ে যে শ্বেতপত্র প্রকাশা করা হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, ২০১০-১১ সালের শেয়ারবাজার কারসাজি হয় শক্তিশালী ব্যবসায়িক গোষ্ঠী ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালীদের মাধ্যমে। তারা শেয়ারের দাম কারসাজির মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ব্যাপক ক্ষতি করেছে। এই বিপর্যয়ের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে সর্বনাম হয়েছে।  জনরোষ এবং তদন্ত সত্ত্বেও এই কারসাজির পেছনের মূল খেলোয়াড়দের অনেকেই রাজনৈতিক সুরক্ষায় বিচার এড়িয়ে গেছেন।

শেয়ারবাজার থেকে ২০২০-২১ সালে বেক্সিমকো গ্রুপ বেক্সিমকো সুকুক বন্ডের মাধ্যমে ৩০ বিলিয়ন বা তিন হাজার কোটি টাকার তহবিল সংগ্রহ করে। এই তহবিল সংগ্রহের সময় বলা হয়, তিস্তা সোলার ও করতোয়া সোলার নির্মাণ প্রকল্প, যা বেক্সিমকো লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এবং বেক্সিমকো টেক্সটাইল সম্প্রসারণে যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ব্যয় করা হবে। এই বন্ডের ক্রেতা রয়েছে এমন ধারণা পোক্ত করতে ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মতো প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নির্দিষ্ট অঙ্কের বন্ড কিনতে বাধ্য করা হয়। এটি ছিল খুবই বড় ধরনের পুকুরচুরি। যার জের থেকে এখনও পুঁজিবাজার বের হতে পারেনি। তার এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এখন সময়ের দাবি।

Tagged