সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। ভাইরাসটি দেশে দেশে মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস প্রতিরোধে কোনো কোনো দেশে কারফিউ বা জরুরি অবস্থা কিংবা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
বাংলাদেশেও কার্যত লকডাউনের মধ্যে রয়েছে। এ অবস্থায় খেটে খাওয়া থেকে শুরু করে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন। স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন।
দেশের এ পরিস্থিতিতে এক মাসের বাড়ি ও দোকান ভাড়া মওকুফের প্রজ্ঞাপন জারির জন্য সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ভাড়াটিয়া কল্যাণ সমিতির সভাপতি আইনজীবী আবেদ রাজা এই দাবি জানান। এছাড়ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ দাবির পক্ষে অনেককে ম্বোচ্চার হতে দেখা যায়। একই সময় রাজধানীতে ভাড়া দিতে না পারায় নবজাতকসহ এক দম্পতিকে রাতের বেলায় বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগের খবরও আসে গণমাধ্যমে।
সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বর্তমান বাস্তবতায় বাড়ি-অফিস-দোকান ভাড়া মওকুফের দাবি কি অযৌক্তিক? এতে কি বাড়িওয়ালারা খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন? মানবিক কারণে কি এই ক্ষতিটুকু মেনে নেয়া যায় না? ইতিমধ্যেই দুয়েক জায়গায় স্বেচ্ছায় বাড়ি মালিকরা দুয়েক মাসের ভাড়া মওকুফ করে দিয়েছন বলে গণমাধ্যমে জানা গেছে। লাখ লাখ ভাড়াটিয়ার দুর্দিনের কথা ভেবে কি সরকার এ বিয়ে কোনো পদক্ষে নিতে পারে না? মানুষ এ মুহূর্তে কঠিন সময় পার করছে। এটি হয়তো এক সময় থাকবে না। এ সময় চারটা খেয়ে বেঁচে। থাকাটা তাদেের জন্য খুবই কষ্টের। ভাড়াটা থকে রেহাই পেলে মানুষ একটু দম নিতে পারবে
ব্রেকিং নিউজ :