কমলালেবু খাওয়ার উপকারিতা

এসএমজে স্বাস্থ্য ডেস্ক:

কমলা অত্যন্ত পুষ্টিকর। ভরা মৌসুম চলছে কমলালেবুর । মানবদেহে প্রতিদিন  যে পরিমাণ  ভিটামিন সি  প্রয়োজন, তা রয়েছে সহজলভ্য এই ফলটিতে। সব বয়সের জন্য এ ফল উপযোগী। কমলালেবুতে ফ্যাট  নেই,  ক্যালোরির পরিমাণও অত্যন্ত কম। তাই যারা ওজন কমাতে চান, তাঁরা নিঃসন্দেহে কমলা খেতে পারেন। এতে মিলবে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস। আরও আছে ভিটামিন সি, যা আপনার ত্বককে ভালো রাখতে  দারুণ কার্যকর। চলুন জেনে নেয়া যাক কমলালেবু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে:

  • এ ফলে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’।যেকোনো বয়সের মানুষের জন্য ভিটামিন ‘সি’ প্রতিদিন প্রয়োজন হয়। এই ভিটামিন পানিতে দ্রবণীয়। দেহে জমা হয়ে থাকে না।ভিটামিন ‘সি’ ইনফেকশনজনিত সমস্যা, ঘা, ভাইরাস জ্বর, ত্বকের কাটা-ছেঁড়ার বিরুদ্ধে অবদান রাখে।
  • কমলালেবু ত্বক, চুল, নখকে করে উজ্জ্বল ।এতে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। যাদের বারবার ও খুব দ্রুত টনসিল ফুলে যায়, ব্যথা হয় তাদের জন্য জরুরি পথ্য হিসেবে কাজ করে কমলালেবু। উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিসের রোগীরাও খেতে পারবেন এই ফল। তবে হালকা টক হওয়াই ভালো। বেশি মিষ্টি হলে পরিহার করাই শ্রেয়।
  • গর্ভাবস্থা থেকে মাতৃদুগ্ধ দান পর্যন্ত এই ফল অত্যন্ত উপকারী। কিন্তু গর্ভাবস্থায় যেসব মায়ের গ্যাসট্রিকের সমস্যা হয় বেশি তারা নিজেদের হজমক্ষমতা বুঝে পরিহার করতে পারেন।
  • নিয়মিত দাঁতের যত্ন নিতে হবে। চোখের পাতায় ইনফেকশন, চোখ ওঠা ভীষণ ছোঁয়াচে রোগ।কমলালেবু এই অসুখ গুলোর বিরুদ্ধ লড়াই করে।
  • কমলালেবুতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি-র‌্যাডিকেল ড্যামেজ প্রতিরোধ করে। যা কিনা ত্বকের সজীবতা বজায় রাখতে সাহায়তা করে। পেপটিক আলসার প্রতিরোধেও কমলালেবু সাহায্য করে। এছাড়া শীতকালে কমলালেবুর জুস ঠাণ্ডা লাগার সমস্যায় উপকারী পথ্য হিসেবে কাজ করে।
  • কমলালেবুতে ব্রেন ডেভেলপমেন্টের জন্য যে পরিমাণে ফলিক অ্যাসিডের প্রয়োজন সেটা যথেষ্ট পরিমাণে আছে।সেই সাথে ব্রঙ্কাইটিস ও নিউমোনিয়া প্রতিরোধ  করতে  সাহায্য  করে।

Tagged