ওটিসি মার্কেট বিনিয়োগকারীদের গলার কাঁটা

পুঁজিবাজারে লোকসানি ও বন্ধ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেটে (ওটিসি) থাকছে না কোনো কোম্পানি। বর্তমানে এই মার্কেটে তালিকাভুক্ত ৬৪টি কোম্পানির মধ্যে ৫০টিরও বেশি স্থানান্তর করা হবে ডিএসইর মূল মার্কেট, এসএমই বোর্ড ও অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড- এটিবিতে। আর ১৩টি কোম্পানি তালিকাচ্যুতির আবেদন করেছে। এর মধ্যে চারটির তালিকাচ্যুতির কাজ এগিয়ে চলছে।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘ওটিসি বলে কিছু রাখা যাবে না। এটা হলে কোম্পানির গভর্নেন্স থাকে না। ইচ্ছামতো চালায়, বিক্রি করে দেয়। জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’

২০০৯ সালে বিএসইসি ওটিসি মার্কেট গঠন করে। উৎপাদনে না থাকা, নিয়মিত বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) না করা, কাগজের শেয়ার রাখা, নিয়ম অনুযায়ী বিএসইসিতে আর্থিক প্রতিবেদন জমা না দেয়া, ডিভিডেন্ড প্রদান ও সিকিউরিটিজ আইন পরিপালন না করা কোম্পানিগুলোকে নিয়ে ওটিসি মার্কেট চালু করা হয়।

বিএসইসির এ ধরনের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। এসব কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের গলা কাঁটা হয়ে রয়েছে ওটিসিতে। কোম্পানিগুলোয় বিনিয়োগকারীদের পুঁজি আটকে পড়ে তাদের মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। তাই আমরা দীর্ঘ ধরে ধরে বলে আসছি এর একটা সুরাহ হওয়া দরকার। অবশেষে বিএসইসি উদ্যোগ নিয়েছে। এটি দ্রুত বাস্তবায়ন হোক।

Tagged