এসএমই বোর্ড: পুঁজিবাজারের এক ধাপ অগ্রগতি

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ক্ষুদ্র ও মাঝারি কোম্পানির শেয়ার লেনদেনের জন্য আলাদা প্ল্যাটফর্ম ‘এসএমই বোর্ড’ চালুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার আরও এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার বিষয়টিকে সম্ভাবনা হিসেবেই দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। এটি অবশ্য পুঁজিবাজারে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।

আমরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছি, অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র ও মাঝারি সামর্থের উদ্যোক্তাদের দিকে নজর দেওয়া হোক। তারা যেন পুঁজিবাজার থেকে এক-দুই কোটি টাকাও তুলতে পারে সেই ব্যবস্থা করা হোক। কারণ দেশে এ ধরনের উদ্যোগক্তার সংখ্যা অনেক বেশি। এখানে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হয়। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসার অসীম সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। সূত্রমতে বাংলাদেশে ৭৮ লাখ এসএমই প্রতিষ্ঠান আছে। এর সঙ্গে জড়িত আছে ৩ কোটি ১০ লাখ মানুষ। এই খাত জিডিপির ২৫ শতাংশের যোগান দেয়। তাই এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে।  ক্ষুদ্র  ও মাঝারি কোম্পানির শেয়ার লেনদেনের আলাদা প্ল্যাটফর্মের ফলে বিনিয়োগকারীরাও উপকৃত হবেন। এটি সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনীতির তৃণমূল পর্যায় পুঁজিবাজারকে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। অবশেষে বিষয়টি নিয়ন্ত্রক সংস্থার গোচরে আসায় আমরা আশাবাদী।

Tagged