এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের আইপিও আটকে দিল বিএসইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

শেষ সময়ে এসে অনুমোদনের পর এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিও স্থগিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কোম্পানিটির সম্পদের মালিকানা ও সম্পদমূল্য নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেওয়ায় আইপিও স্থগিত করা হয়েছে। পাশাপাশি কোম্পানিটির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে দুই সদস্যের কমিটিও গঠন করেছে বিএসইসি। সম্প্রতি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিএসইসি সূত্রে জানা যায়, গত বছরের সেপ্টেম্বরে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে বাজারে শেয়ার ছেড়ে মূলধন সংগ্রহের অনুমোদন দেওয়া হয়। কোম্পানিটির বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে বাজার থেকে ৯৫ কোটি টাকা সংগ্রহের কথা ছিল। এরই মধ্যে কোম্পানিটির প্রাতিষ্ঠানিক দর প্রস্তাবপ্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়েছে। দর প্রস্তাবে কোম্পানিটির শেয়ারের ভিত্তিমূল্য বা কাট অব প্রাইস নির্ধারিত হয় ৫০ টাকা। আর নিয়ম অনুযায়ী, আইপিওতে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ঠিক হয় ২০ টাকা। গতকাল সোমবার থেকে এটির আইপিওর আবেদন গ্রহণের তারিখ নির্ধারিত ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে কোম্পানিটির আইপিও স্থগিত করা হয়।

বিএসইসি সূত্র বলছে, সম্প্রতি কোম্পানিটির বিভিন্ন সম্পদ ও যন্ত্রপাতির মালিকানা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। পাশাপাশি আইপিওতে আসার আগে সম্পদ পুনর্মূল্যায়ন করে বেশি দাম দেখানোরও অভিযোগ ওঠে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগ তদন্তে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যরা হলেন বিএসইসির পরিচালক আবুল হাসান ও উপপরিচালক আসিফ ইকবাল। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন কমিশনে জমা দিতে বলা হয়েছে।

তদন্ত কমিটির যে কার্যপরিধি নির্ধারণ করা হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে, কোম্পানিটির বিভিন্ন ধরনের সম্পদ, কারখানা ও যন্ত্রপাতির মালিকানা যথাযথভাবে যাচাই করে দেখবে কমিটি। পাশাপাশি সম্পদ পুনর্মূল্যায়নের মাধ্যমে উচ্চমূল্য দেখানো হয়েছে কি না, সেটিও যাচাই করা হবে। এর বাইরে কোম্পানিটির আইপিও আবেদন তৈরির ক্ষেত্রে ইস্যু ব্যবস্থাপক ও নিরীক্ষকের ভূমিকা কী ছিল এবং তারা যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে কাজটি করেছিল কি না, তা–ও খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিটিকে।

জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর কোম্পানিটির আইপিওর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তাই কমিশনের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কোম্পানিটির আইপিও কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।

Tagged