এমিরেটস সিমেন্ট-এমিরেটস পাওয়ার একীভূতকরণ অনুমোদন   

নিজস্ব প্রতিবেদক:

এমিরেটস সিমেন্ট বাংলাদেশ লিমিটেড ও এমিরেটস পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডকে একীভূতকরণের অনুমোদন দিয়েয়েছেন আদালত। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানি হাইডেলবার্গ সিমেন্ট বাংলাদেশ লিমিটেডকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।

কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে বিনিয়োগকারীদের এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক সিমেন্ট উৎপাদনকারী কোম্পানি হাইডেলবার্গ সিমেন্ট বাংলাদেশ লিমিটেড আল্ট্রাটেক সিমেন্ট মিডল ইস্ট ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের কাছ থেকে এমিরেটস সিমেন্ট বাংলাদেশ লিমিটেড ও এমিরেটস পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের শতভাগ শেয়ার কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। এরি পেক্ষিতে পরিচালনা পর্ষদের এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে নিয়ম অনুযায়ী আদালতে আবেদন করে কোম্পানিটি। আদালত গত ৭ ফেব্রুয়ারি এমিরেটস সিমেন্ট বাংলাদেশ লিমিটেড ও এমিরেটস পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডকে একীভূতকরণের অনুমোদন দেন।

কোম্পানিটি আগামী ২ এপ্রিল অতিরিক্ত সাধারণ সভা (ইজিএম) করবে শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নেয়ার জন্য । এ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ মার্চ। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অবস্থিত কোম্পানিটির কারখানা প্রাঙ্গনে এই ইজিএম অনুষ্ঠিত হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অধিগ্রহণ মূল্য ধরা হয়েছে ২ কোটি ১৫ লাখ ১৮ হাজার ৬৮৪ ডলার বা ১৮২ কোটি ৫৮ লাখ ৬০ হাজার ৩৮৪ টাকা।

২০১০ সালে ভারতীয় আদিত্য বিরলা গ্রুপ ইটিএ স্টার সিমেন্টকে অধিগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের বাজারে আল্ট্রাটেক সিমেন্টের উৎপাদন শুরু করে। পরবর্তী সময়ে আদিত্য বিরলা গ্রুপ বাংলাদেশে এমিরেটস সিমেন্ট নামে সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন করে কার্যক্রম চালায়।

ডিএসই’র তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ৭৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় হাইডেলবার্গ সিমেন্ট। এ বছর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয় ১৪ টাকা ৩৩ পয়সা ও শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ৮২ টাকা ৬৮ পয়সায়। এর আগে ২০১৭ হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ১৪ টাকা ২১ পয়সা। ওই বছরে কোম্পানিটি ১৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।

এছাড়া ২০১৬ ও ২০১৫ হিসাব বছরে ৩০০ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। তবে লোকসানের মধ্যে পড়ে ২০১৯ সালে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

এদিকে কোম্পানিটির সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৩ টাকা ২ পয়সা। আর ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে শেয়ার প্রতি সম্পদ দাঁড়িয়েছে ৬৮ টাকা ৮৮ পয়সা।

এসএমজে/২৪/সা

Tagged