পুঁজিবাজার ঊর্ধ্বমুখী, এ কথা বলার সময় এখনই আসেনি। বরং বলা যায়, বাজারে স্বাভাবিক ধারার সূচনা হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে হয়তো পুঁজিবাজারে সুদিন আসবে। আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন- ৮ হাজাহার ৯শ’ পয়েন্ট থেকে সূচক পতন হয়ে বর্তমান অবস্থায় দাঁড়িয়েছে। এটি একটি অস্বাভাবিক নজীর হিসেবেই পুঁজিবাজারের ইতিহাসে শনাক্ত হয়ে আছে। এ কারণে বলতে চাই, এখনই সংশ্লিষ্টদের আত্মতৃপ্তিতে ভুগলে ভুল হতে পারে। তাই বর্তমানে যে শুভ লক্ষণ দেখা যাচ্ছে এটি যাতে আবার মুখ থুবড়ে না পড়ে সেদিকে সজাগ থাকা হতে পারে সংশ্লিষ্টদের জন্য সঠিক কাজ।
তবে যাই হোক, আমরা বর্তমান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে সাধুবাদ জানাতে চাই। কারণ বাজারের মুমূর্ষু অবস্থায় তিনি স্যালাইন দিতে পেরেছেন। এটি আরো আগে করতে পারলে আরো ভালো হতো। ব্যাংক-বীমাসহ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বাজারমুখি করার উদ্যোগ নিঃসন্দেহে ইতিবাচক। বাংলাদেশ ব্যাংকের আগের গভর্নর হয়তো অনেক কিছু করেছেন, কিন্তু পুঁজিবাজারকে দীর্ঘস্থায়ী রুগ্ন দশায় নিয়ে গেছেন। আশা করছি পুঁজিবাজার সেই রাহুর কবল থেকে মুক্তি পাবে। এতে লাখ লাখ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীই নয়, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগও আরো সক্রিয় হবে। সব পক্ষ সমানতালে সক্রিয় হলেই বাজার প্রাণবন্ত হয়। যা সকলেরই প্রত্যাশা।
ব্রেকিং নিউজ :