শতশত পয়েন্ট সূচকের পতন পুঁজিবাজারে এখন প্রায়ই দেখা যাচ্ছে। এতে পথে বসছেন ক্ষুদ্র ও সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। অন্যদিকে বিভিন্নভাবে অনিয়মের শিকারও হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। এতে তাদের জন্য পুঁজিবাজারে উভয় সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
ব্রোকারেজ হাউজ বন্ধ করে ৫০ বিনিয়োগকারীর প্রায় ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে ফার্স্টলিড সিকিউরিটিজ লিমিটেড। ডুপ্লিকেট সফটওয়্যার ব্যবহার করে জালিয়াতির মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রি করে ফার্স্টলিড সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের (সিএমজেএফ) অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা।
বিনিয়োগকারীদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন মোহাম্মদ আইয়ুব খান। তিনি বলেন, ফার্স্টলিড সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাদের ঢাকা অফিসের আমাদের প্রায় ৫০ জন বিনিয়োগকারীর সব শেয়ার বিক্রি করে প্রায় ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
এই বিনিয়োগকারী বলেন, ফার্স্টলিড সিকিউরিটিজ থেকে শেয়ার বিক্রি সংক্রান্ত কোনো এসএসএস এবং মেইল আমরা কখনো পেতাম না। বিষয়টি তাদের জানানো হলে তারা সব ঠিক হয়ে যাবে বলে আমাদের আশ্বস্ত করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি, বাধ্য হয়ে আমরা অন্য হাউজে বিও হিসাব খুলে শেয়ার হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেই, সেটাও হয়নি। পরে জানতে পারি ২০২১ সালের মার্চ থেকে ফার্স্টলিড সিকিউরিটিজের লেনদেন বন্ধ করে রেখেছে বিএসইসি।
মোহাম্মদ আইয়ুব খান বলেন, হাউজ বন্ধ থাকলেও ডুপ্লিকেট সফটওয়্যার ব্যবহার করে শেয়ার লেনদেন করতেন তারা। গত ২০ জানুয়ারি আমরা সিএসইর সিআরও বরাবর শেয়ার হস্তান্তরের আবেদন করি।
এই ধরনের পরিস্থিতিতে মনে হয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা লেনদেনের পাশাপাশি অন্যান্য ক্ষেত্রেও বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। এটি কোনো মতেই কাম্য নয়।