কথায় আছে, ‘যত গুড় তত মিঠা’। একটি উন্নত পুঁজিবাজারের জন্য উন্নত ব্যবস্থাপনাও আবশ্যক। বাজারের কাঠামোগত পরিবর্তনের বিষয়গুলোও দীর্ঘ মেয়াদি বিবেচনায় নিতে হবে। এক্ষেত্রে সার্বিক উন্নতির কথাই মাথায় রাখা দরকার। কোনোমতে নানান রকম চেষ্টা চালিয়ে সূচক আর লেনদেন বাড়ানোই একমাত্র লক্ষ্য হতে পারে না। খুঁটিনাটি প্রতিটি বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার দরকার আছে। পুঁজিবাজার ভালো হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্টেকহোল্ডারদের দায়িত্ব বেড়ে যাবে। এক্ষেত্রে দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের ম্যানেজমেন্টের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। এছাড়া বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর পুঁজিবাজার যেভাবে পরিচালিত হয় এবং সেখানে যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা আছে, সেগুলো আমাদেরকেও চালু করতে হবে।
এর জন্য সরকারের নীতিসহায়তা যেমন দরকার, তেমনই দরকার সংশ্লিষ্ট সব মহলের দক্ষতা, যোগ্যতা, সততাও। পুঁজিবাজার একটি চলমান প্রক্রিয়া। এখানে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সংকট ও সম্ভাবনা সৃষ্টি হওয়ার সুযোগ রয়েছে। এ কারণে সংশ্লিষ্টদের সেভাবে হালনাগাদ থাকতে হবে। তা না হলে এর যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত হবে না। বাজারের কোনো একটি অঙ্গ দুর্বল থাকলে সেটি খুঁড়িয়ে চলবে। এই খুঁড়িয়ে চলার কারণে বাজারের উন্নতি বাধাগ্রস্ত হবে। এ জন্য ব্যবস্থাপনার উন্নতির বিষয়টিও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।