ঈদের আগ মুহূর্তে বিনিয়োগকারীদের আহাজারি খুবই দুঃখজনক

দেশের পুঁজিবাজারে টানা দরপতনে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে চরম হতাশা লক্ষ করা গেছে। বাজারের এ পতন শুরু হয়েছে শেয়ারের দামের সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার পর থেকে। গত ২১ জানুয়ারি থেকে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কয়েক ধাপে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়। এরপর কিছুদিন বাজারে শেয়ারের দাম বাড়লেও ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে মোটামুটি একটানা দরপতন শুরু হয়।

পতন ঠেকাতেই ২০২২ সালের জুলাই থেকে সর্বশেষ দফায় ফ্লোর প্রাইস আরোপ করা হয়েছিল। এর মাধ্যমেই দেড় বছরের বেশি সময় কৃত্রিমভাবে বাজারকে একটি সীমার মধ্যে ধরে রেখেছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা। কিন্তু ফ্লোর প্রাইস উঠে যাওয়ার পর বাজার আর বেঁধে রাখা যায়নি। থেমে থেমে দরপতন চলছেই। গতকালও বড় দরপতন হয়েছে বাজারে। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬৮ পয়েন্ট বা ১ শতাংশের বেশি কমে ৫ হাজার ৭৬১টি পয়েন্টে নেমে এসেছে। প্রায় তিন বছরের মধ্যে এটিই ডিএসইএক্সের সর্বনিম্ন অবস্থান। এর আগে সর্বশেষ ২০২১ সালের ১২ মে এ সূচক ৫ হাজার ৭৫০ পয়েন্টে ছিল। সামগ্রিক চিত্র দেখে এ বাজার নিয়ে হতাশা ছাড়া কিছু পাওয়ার নেই বিনিয়োগকারীদের। ঈদের আগ মুহূর্তে বিনিয়োগকারীদের আহাজারি খুবই দুঃখজনক।

Tagged