ইফতার পার্টির টাকায় মানুষের সহায়তা করা যেতে পারে

রমজান সংযম ও ত্যাগের মাস। এ মাসে সামাজিকভাবে আমরা ভোগ ও বাহুল্যই বেশি দেখে থাকি। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংকট ও দুর্মূল্যের পেছনে একশ্রেণির অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ী দায়ী সন্দেহ নেই। কিন্তু একই সঙ্গে একশ্রেণির মানুষের মাত্রাতিরিক্ত ভোগও কম দায়ী নয়। কেউ কেউ নিছক লোক দেখানোর জন্য ব্যাপক ইফতারি বা সেহরির আয়োজন করে থাকে।এতে প্রশ্ন উঠ, এখানে কোথায় সংযমের সংকল্প আর কোথায় ত্যাগের মহিমা?
এবার অবশ্য করোনা পরিস্থিতিতে দেশব্যাপীই ইফতার মাহফিল বা ইফতার পার্টি আয়োজন নিষিদ্ধকরা হয়েছে। বস্তুত প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে এর বিকল্পও ছিল না। কিন্তু আমরা জানি, প্রতিবছর ইফতারি উপলক্ষে আয়োজন যখন প্রায় রেওয়াজে পরিণত হয়েছে, তখন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে প্রভাবশালী পক্ষলো এজন্য আগে থেকেই অর্থ বরাদ্দও করে রাখে।
এই অর্থ যদি করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন নিম্নবিত্তদের মধ্যে ত্রাণ হিসেবে দেওয়া যায়, তাহলে পরিস্থিতি মোকাবিলা সবার জন্য সহজ হবে। একই সঙ্গে চর্চা হবে সত্যিকারের সংযম।
আমরা চাই, বিপদের দিনে বাহুল্য পরিত্যাজ্য হোক। করোনাভাইরাসের এই দিনে কেবল ইফতার মাহফিল নয়, সব ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানেই সংযম ও ত্যাগ প্রতিফলিত হোক। দেশে কর্মহীন মানুষ বাড়ছে সরকারের একার পক্ষে এত ত্রাণ দেওয়া কঠিন। রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনও যদি এগিয়ে আসে, তাহলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সহজ হবে।

Tagged