আস্থার ডাক বিনিয়োগকারীদের কাছে পৌঁছুবে কী করে?

অনেক মহল থেকে বলা হচ্ছে, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীরা সক্রিয় হোক সংকট কেটে যাবে। তাদের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে বাজারের প্রতি আস্থা রাখার জন্য। কথা হচ্ছে, বর্তমান লক্করঝক্কর পুঁজিবাজার ঠিক না করে ডাকাডাকি করলে আস্থার ডাক বিনিয়োগকারীদের কানে পৌঁছুবে কী করে? সর্বস্বান্ত বিনিয়োগকারীরা কোন ভরসায় বাজারে বিনিয়োগক করবেন। প্রথমত নতুন করে বিনিয়োগ করার সামর্থ অনেকের নেই। দ্বিতীয়ত সঠিক পদ্ধতিতে বিনিয়োগক করলে ফের তাদের পুঁজি হারাবে না এই গ্যারান্টি কে দেবে? সুতরাং আগে বাজারকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে হবে। গুণগত পরিবর্ত আনতে হবে। তাহলে পুঁজি হারানো বিনিয়োগকারীরা কিছুটা স্বস্তি পাবেন, লোকসান কমানোর জন্য উপায় খুঁজে পাবেন। অন্যদিকে নতুন বিনিয়োগকারীরা বাজারে যুক্ত হবেন নিজেদের ভাগ্য বদলের আশা নিয়ে। এটি স্বাভাবিক নিয়মেই ঘটবে। তাই কাউকে ডেকে বা প্রণোদনা দিয়ে বাজারে আনতে হবে না। নিজের আগ্রহ থেকেই মানুষ পুঁজিবাজারে যুক্ত হবেন।

দেশের আর সব ব্যবসায় যদি লাভ লোকসান থাকে, পুঁজিবাজারে শুধু লোকসানই থাকবে কেনো? এটিতো কোনোভাবেই আধুনিক অর্থনীতির বৈশিষ্ট্য নয়। এই অবস্থা দূর করা গেলে মানুষ আস্থা ও ভরসা পেলে এমনিতেই এখানে বিনিয়োগ করবেন। পৃথিবীর আর সব পুঁজিবাজার এভাবেই চলছে। কোনো চাপ নেয়ার বা চাপ দেয়ার দরকার নেই। দরকার কেবল পুঁজিবাজারটাকে অনিয়ম বা প্রভাব মুক্ত করে স্বাভাবিক করে দেয়া। এটিই প্রতাশিত।

Tagged