আর্থিক প্রতিবেদনে অস্বচ্ছতা: কোম্পানিগুলো ছাড় পায় কীভাবে?

নানা জল্পনা-কল্পনার পর পুঁজিবাজারের পরিস্থিতি উন্নয়নে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে বৈঠক করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালনা পর্ষদ। অথচ বৈঠক পরবর্তী কার্যদিবসেই বড় পতন দেখা গেল দেশের পুঁজিবাজারে। বিনিয়োগকারীরা ভেবে ছিলেন, বৈঠক থেকে আশাবাদী হওয়ার মতো কোনো খবর আসবে । কিন্তু তাদের সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। বরং অর্থমন্ত্রীর কথায় আশাহত হয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। কারণ তিনি কোনো ধরনের সুনির্দ্দিষ্ট বক্তব্য দেননি।

এদিকে বিনিয়োগকারীদের দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে স্বচ্ছতা আনার বিষয়টি। এ বিষয়ে মন্ত্রী কোনো বাস্তবসম্মত কথা বলেননি। সার্বিকভাবে বলেছেন, পুঁজিবাজারের অনিয়ম দেখার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা রয়েছে। এ ধরনের বক্তব্য আগেও শোনা গেছে। কার্যত কিছুই হয়নি। কথা হচ্ছে, অস্বচ্ছ আর্থিক প্রতিবেদন দিয়ে কোম্পানিগুলো ছাড় পায় কীভাবে? বিষয়টি দেখার দায়িত্বে যারা রয়েছেন, তারা তা হলে কী করছেন?

অন্যদিকে মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরের দিনই বাজারে বড় ধরনের ধস নামায় সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আরও হতাশ। দেশীয় অর্থনীতির সূচকগুলো ভালো থাকার পরও পুঁজিবাজারের সংকটাপন্ন অবস্থার কারণ কিছুতেই স্পষ্ট হচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে বাজার সম্পর্কে বিনিয়োগকারীরা শুধু হতাশই হবেন না, তাদের বাজারবিমুখ হয়ে পড়ার মিছিল আরো বড় হবে।

Tagged