নতুন নতুন আইপিও আসার বিষয়টি পুঁজিবাজারে এক ধরনের গতিশীলতার ইঙ্গিত বহন করে। একই সঙ্গে শিল্পায়নেও সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এতে নতুন অনেক উদ্যোগক্তা সফল শিল্পপতি হিসেবে গড়ে ওঠার সুযোগ পান। এভাবে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে প্রবাহমানতা সৃষ্টি হয়। সাধারণ ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মধ্যে তৈরি হয় বিনিয়োগ আগ্রহ। আবার এই কথাও বলা যায়- কোনো কোনো আইপিও অনুমোদনের ফলে পুঁজিবাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়। বাজারের সুনাম নষ্ট হয়। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশা ছড়িয়ে পড়ে। এটি হয় দুর্বল বা অযোগ্য আইপিও অনুমোদন পেলে। এমন পরিস্থিতি আমাদের দেশের পুঁজিবাজারে অতীতে ঘটেছে। এতে বাজারের গভীরতা কমেছে। বাজার আস্থার সংকটে পড়েছে। ওইসব অযোগ্য আইপিও এক শ্রেণির মানুষের লুটপাটের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। ভবিষ্যতে যেনো এমন ঘটনা না ঘটে সেটি খেয়াল রাখা খুবই প্রয়োজন।
সম্প্রতি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বেশকিছু আইপিও আবেদন নাকচ করেছে। বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম ও সন্দেহের কারণে এসব আইপিও আবেদন বাতিল করা হয়। এটি পুঁজিবাজারের জন্য খুবই স্বস্তিকর বিষয়। আবার পুঁজিবাজারে ভালো ভালো আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রেও নিয়ন্ত্রক সংস্থার আন্তরিক থাকা প্রয়োজন। তবেই বাজারে সুদিন ফিরবে বলে আশা করা যায়।