সব দেশের পুঁজিবাজারেই উত্থান পতন আছে। কখনো সূচক কমবে-বাড়বে আবার কখনো লেনদেন বাড়বে-কমবে। তবে তারও একটা ধারাবাহিকতা থাকা চাই, থাকা চাই স্বাভাবিকতা। কোনো কারণ ছাড়া ঘটনা ঘটে না। হয়তো কখনো কারণটা দেখা যায়, কখনো দেখা যায় না। দেখা না যাওয়া কারণটাই অস্বাভাবিকতা। আর এ ধরনের ঘটনা আমাদের দেশের পুঁজিবাজারে হরহামেশাই ঘটে। এটিকে অঘটন বলার সুযোগ নেই। কারণ অনেক সময় বিষয়টি নিয়মে পরিণত হয়ে যায়।
কিছুদিন আগেও দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হয়েছে দুই থেকে তিন হাজার কোটি টাকা। সেই লেনদেন এখন এক হাজার কোটি টাকারও নিচে নেমে এসেছে। ফলে এটিকে স্বাভাবিকতা বলা যায় না। আবার এমনটিও ভাবার কারণ নেই- কোনো কারণ ছাড়াই ঘটনা ঘটে। সাদা চোখে দেখা না গেলেও অবশ্যই কারণ রয়েছে। কেউ আড়াল থেকে কলকাঠি নাড়ছে। এই বিষয়টিই খুঁজে বের করা দরকার। কারণ অস্বাভাবিকতা থাকলে বাজার কখনো স্থিতিশীল হবে না। বাজার স্থিতিশীল না হলে এ ধরনের ভৌতিক আচরণও বন্ধ হবে না। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। এর থেকে বের হওয়াটাই বড় চ্যালেঞ্জ।