অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধি: তদন্তের মধ্যেই দায় সারলে চলবে না

মাত্র ছয় মাসে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ারের দাম ১১ গুণ বেড়েছে। গত জুলাই মাস থেকে একটানা বেড়েছে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম। এতে ৬ মাসে ৮২ টাকার শেয়ারের দাম হয়ে গেছে ৯২০ টাকা।

অস্বাভাবিক এই মূল্যবৃদ্ধির পর অবশেষে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গত বুধবার কমিশনের পক্ষ থেকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষকে এ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।

কমিশনের সার্ভেল্যান্স প্রাথমিক তথ্যে কোম্পানিটির শেয়ারের সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধিকে কিছুটা অস্বাভাবিক মনে হয়েছে। তাই এ মূল্যবৃদ্ধির পেছনে কোনো ধরনের কারসাজি বা আইন লঙ্ঘনের ঘটনা রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে ডিএসইকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

ডিএসইর তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল ঢাকার বাজারে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ছিল সাড়ে ৮২ টাকা। আর বুধবার দিন শেষে এ দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯২০ টাকা। সেই হিসাবে ৬ মাসে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৮৩৭ টাকা ৫০ পয়সা বা ১ হাজার শতাংশের বেশি।

সম্প্রতি এভাবে আর কোনো কোম্পানির শেয়ারের এমন মূল্যবৃদ্ধির ঘটনা ঘটেনি। স্বল্প মূলধনি কোম্পানি হওয়ায় এটির শেয়ার নিয়ে বড় ধরনের কারসাজির ঘটনা ঘটানো হতে পারে। জুলাই থেকে অস্বাভাবিকভাবে এটির শেয়ারের দাম বাড়তে থাকলেও নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও ডিএসইর পক্ষ থেকে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ কারণে কারসাজিকারকেরা ইচ্ছেমতো দাম বাড়িয়েছেন। তাই আমরা বলতে চাই কেবল তদন্তের মধ্যে বিষয়টি যেন সীমাবদ্ধ না থাকে।

Tagged