অর্থনীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে পুঁজিবাজারের প্রসার ঘটেনি

গত এক দশকে আন্তর্জাতিক পুঁজিবাজার যে হারে বিকশিত হয়েছে, দেশের পুঁজিবাজারে সেটি ঘটেনি। বাংলাদেশের অর্থনীতি গত ১০ বছরে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে এ সময় জনগণের মাথাপিছু আয়ও অনেক বেড়েছে। এর ফলে জনগণের সঞ্চয়ও বেড়েছে। জনগণ এ সঞ্চয়কে বিনিয়োগের জন্য নানা খাত খুঁজছে। দেশের পুঁজিবাজার এ সুযোগ নিতে পারে। আমাদের দেশের অর্থনীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে পুঁজিবাজারের প্রসার ঘটেনি। এটি এক ধরনের দুর্বলতা হিসেবেই থেকে গেছে। তাই পুঁজিবাজার থেকে অর্থবাজারের আকার অনেক বেশি। আমরা যদি সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন অবকাঠামো এবং শিল্পায়নের জন্য প্রয়োজনীয় মূলধন সরবরাহ করতে পারি তবে পুঁজিবাজারের আকার বাড়বে এবং একই সঙ্গে ব্যাংকিং খাতের ওপরও চাপ কমবে।

পুঁজিবাজারের এ বিষয়ে আমরা আগেও লিখেছি। সম্প্রতি করোনাকালের কিছু বিষয় বাদ দিলে অর্থনীতি এখনও বিকাশমান। এই বিকাশের সঙ্গে পুঁজিবাজারের বিকাশের ভারসাম্য নেই। এক্ষেত্রে ভারসাম্য সৃষ্টি হওয়া প্রয়োজন। এ মধ্য দিয়ে বিনিয়োগকারী ও শিল্পোদ্যোক্তা উভই লাভবান হতে পারে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মান স্পর্শ করতে হলে আমাদের পুঁজিবাজারের সক্ষমতা বাড়ানোর বিকল্প নেই।

Tagged