গত প্রায় একযুগ ধরেই দেশের পুঁজিবাজারে এক ধরনের অস্থিরতা ও থেমে থেমে মন্দা বিরাজ করছে। এর জন্য নানামুখী কারণ দায়ী। অন্যতম বিষয় হচ্ছে, পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কতিপয় অসাধু চক্র বাজারের উন্নয়ন ব্যাহত করছে। এ কারণে পুঁজিবাজারকে অর্থনীতির অন্যতম ভিত্তি হিসেবে গড়ে তোলার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। এটি করতে গিয়ে কে, কী ধরনের দায়িত্ব পালন করবেন, তার সুনির্দ্দিষ্ট রূপরেখা থাকতে হবে। পরিকল্পনা হতে হবে যুগোপযুগী। আন্তর্জাতিকভাবে পুঁজিবাজারগুলো কী করছে, সেগুলো অভিজ্ঞতার আলোকে এবং নিজ দেশের অর্থনীতির বাস্তবতা অনুযায়ী পুঁজিবাজারের নীতিবিন্যাস করতে হবে।
অর্থনীতিরে বিভিন্ন সূচকের দিকে তাকালে দেখা যাবে গত একযুগে পুঁজিবাজার সে তুলনায় বিকশিত হয়নি। এর অনেক কারণ রয়েছে। বিশেষ করে সুশাসনের বিষয়টি এখানে অধিক গুরুত্বপূর্ণ। এর ওপর নির্ভর করে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ ও পুঁজিবাজার সম্পর্কে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি। বিষয়টি সবার আগে বুঝতে হবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইটি এবং স্টকএক্সচেঞ্জগুলোকে। বোকারেজ হাউজ বা তালিকাভুক্ত কোম্পানি যে-ই অনিয়ম করুক, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এটি যেনো লোকদেখানো কিছু না হয়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। তা হলে পুঁজিবাজারের গুণগত পরিবর্তন সম্ভব।