না ফেরার দেশে খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ চলে গেলেন না ফেরার দেশে (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৮০ বছর।

তার ছেলে খন্দকার সাঈদ আহমেদ  জানায়, গত মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টা ৪০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে  চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

আজ বাদ জোহর বায়তুল মোকাররমে  তার নামাজে জানাজা হবে। জানাজার পর তাকে তার জন্মস্থান গোপালগঞ্জে দাফন করা হবে।

জানা যায়, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর গত ১ ফেব্রুয়ারি খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে রাজধানীর শ্যামলীতে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে তাকে বিএসএমএমইউতে স্থানান্তর করা হয়।

১৯৪১ সালের ৪ জুলাই গোপালগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোলে স্নাতকোত্তর ও ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন।

ইব্রাহিম খালেদ ১৯৬৩ সাল থেকে ব্যাংকিং ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি ১৯৯৪ -১৯৯৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, ১৯৯৬ সালে অগ্রণী ব্যাংক এবং ১৯৯৭ সালে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৮-২০০০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ছিলেন। ২০০০-২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন।

তিনি ৯ ডিসেম্বর ২০২০ সাল থেকে পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। পুঁজিবাজারে ধসের কারণ অনুসন্ধানে করা তদন্তের নেতৃত্ব দিয়েও আলোচনায় এসেছিলেন তিনি। ২০১১ সালে বাংলা একাডেমি তাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করে।

ব্যাংকিং ও অর্থনীতি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে ২০০৯ সালে খান বাহাদুর আহছানউল্লা স্বর্ণপদক’ ও ২০১৩ সালে
খান বাহাদুর নওয়াব আলী চৌধুরী’ জাতীয় পুরস্কার দেওয়া হয়। ২০০০ সাল থেকে তিনি কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলার পরিচালক, নির্বাহী পরিষদের সভাপতি ও ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এসএমজে/২৪/জা

Tagged