এবারের বাজেট হোক পুঁজিবাজারবান্ধব

একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুত্থান সারা পৃথিবীতেই বিস্ময় সৃষ্টি করেছিল। বিশেষ করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এদেশের মুক্তিকামী মানুষের লড়াইটা ছিল খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ও ঐতিহাসিক। এই ঘটনা দুনিয়ার সব মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে। যার মধ্য দিয়ে আজকে বাংলাদেশের একটি অবস্থান তৈরি হয়েছে। বিশ্বব্যাপী একটি গণ্য রাষ্ট্র হিসেবে এখন দেখা হয়। তবে এদেশের অর্থনীতির অনেক সাফল্য যেমন রয়েছে, তেমনি কিছুটা ব্যর্থতাও রয়েছে। জাতি হিসেবে আমরা অগ্রসর হতে হলে এসব ব্যর্থতার মীমাংসা করতেই হবে।

আজকে দেশের অর্থনীতির যে আকার, এর যে সম্ভাবনা তার জন্য দেশের সাধারণ মানুষের ভূমিকা অবশ্যই স্মরণযোগ্য। এই বিষয়টি যদি আমরা মনে রাখতে পারি, তা হলে অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে। কিন্তু সর্বক্ষেত্রে বিষয়টি আমরা মনে রাখতে পারিনি। বিশেষ করে দুর্নীতি, অনিয়ম একটি প্রতিবন্ধক হিসেবে সামনে এসে যায়। আজকে আর একদিন পরই ঘোষিত হতে যাচ্ছে জাতীয় বাজেট। যার মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনীতি একটি দৃশ্যমান আকৃতি পায়।

জাতীয় বাজেটে অগ্রাধিকারগুলো ঠিক করা খুবই জরুরি। একটি দেশে সব জায়গা সমানতালে এগোয় না। কোনো বিষয় অনেকটা পিছিয়ে পড়ে। তার মধ্য অন্যতম হচ্ছে দেশের পুঁজিবাজার। গত অনেক বছর ধরে পুঁজিবাজার অস্থির ও মন্দাকবলিত। তাই আসন্ন বাজেটে পুঁজিবাজার গুরুত্ব পাবে এমন আশা আমরা রাখতে পারি জনপ্রতিনিধিদের কাছে।

Tagged