আস্থা সংকটে আবারও তলানিতে লেনদেন, দায় কার

আস্থা সংকটে বিনিয়োগ কমছে শেয়ারবাজারে। গত ছয় কর্মদিবসের প্রতিদিনই দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তিনশ কোটি টাকারও কম মূল্যের শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। এ সময় গড়ে ২৮৯ কোটি টাকার কম কেনাবেচা হয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারির পর গত পাঁচ বছরে এমন অবস্থা দেখা যায়নি। এমন অবস্থা্য় দায় নেবে কে?

লাগাতার দর পতনের কারণে বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারে আসা ছেড়ে দিয়েছেন। ব্রোকারেজ হাউসের ফ্লোর শূন্য পড়ে আছে। শেয়ারদর তলানিতে নামলেও নতুন করে বিনিয়োগকারী আসছেন না। জুলাই অভ্যুত্থানের পর প্রথম কিছু দিন বড় অঙ্কের শেয়ার কেনাবেচা হয়েছিল। কিন্তু দর পতন শুরু হলে ক্রমাগত লেনদেনও কমতে থাকে।

বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপক হতাশা কাজ করছে। তাদের সামনে এমন কিছু নেই, যে কারণে আশাবাদী হয়ে নতুন করে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। দেশের শেয়ারবাজার মূলত ব্যক্তি বিনিয়োগনির্ভর। এখানে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ নেই। বাজারের এমন অবস্থায় বড় বিনিয়োগ সক্ষমতা আছে, এমন কোনো প্রতিষ্ঠানই বিনিয়োগ করছে না। এর কারণ হচ্ছে রাজনৈতিক ক্ষেত্রের অনিশ্চয়তা এবং ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ স্থবিরতা।

ব্যক্তি শ্রেণির বড় কিছু বিনিয়োগকারী রয়েছেন, যারা অর্থনীতি যখন নিস্তেজ থাকে, তখন অর্থ শেয়ারে লগ্নি করে থাকেন। তারা এখন কেন বিনিয়োগে আসছেন না। এ বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে চিন্তা ভাবনা প্রয়োজন।

Tagged