বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার আগে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল চরম সংকটে। আমদানি ব্যয় মেটাতে না পারায় নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের সঙ্গে রপ্তানির কাঁচামাল আমদানি ব্যাহত হচ্ছিল। ডলার সংকটে জ্বালানি তেল ও গ্যাস আমদানি নিয়ে হিমশিম খাচ্ছিল। দেশের চলতি হিসাবের ব্যাপক ঘাটতি ছিল। এসব ক্ষেত্রে উন্নতি হয়েছে। রেমিট্যান্স ব্যাপক বেড়েছে। মূল্যস্ফীতি ধীরে ধীরে কমছে। ব্যাংকগুলোতে সুশাসন পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে উন্নতি হয়নি শেয়ারবাজারের।
শেয়ারবাজারের অংশীজনের অনেকেই বলছেন, দর পতনের কারণ যাই হোক নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
প্রথমত নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর দূরত্ব তৈরি হয়েছে, যা খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত। মতের অমিল থাকতে পারে, তাই বলে আলোচনা না হওয়া কঙ্ক্ষিত নয়। দেশের শেয়ারবাজার একটা ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু ব্যাংকিং খাতের দুরবস্থা থেকে বের হতে বাংলাদেশ ব্যাংক যেভাবে চেষ্টা করেছে, বিএসইসির ক্ষেত্রে তা দেখা যাচ্ছে না। সুতরায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা যদি ঠিক মতো কাজ না করে, তা হলে পরিস্থিতির উত্তরণ কীভাবে সম্ভব? তাই সবার আগে ঠিক করা দরকার বিএসইসিকে। কারণ সর্ষের মধ্যে যদি ভূত থাকে তা হলে ভূত ছাড়াবে কীভাবে?