সংস্কারের আগে যোগ্যদের মতামত নেওয়া উচিত

আমাদের দেশে অযোগ্যরা অতিমূল্যায়িত হওয়া বিষয়টি বেশ পুরনো। বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর উদাহরণ পাওয়া যাবে। অযোগ্যদের মতামত ও প্রভাব থেকে যা বের হয়ে আসে সেটি আসলে ভালো কিছু হয় না। দেশের পুঁজিবাজারের দিকে তাকালে আমরা এমন নজির পাবো। এই কারণেই কোনো কিছু করার আগে যোগ্য লোকদের মতামত নেওয়াটা খুবই প্রয়োজন।

শেয়ারবাজারে সংস্কারের জন্য কমিটি করেছে বিএসইসি। তারা কিছু প্রস্তাবও জমা দিয়েছে। অথচ স্টক এক্সচেঞ্জ, ব্রোকারসহ প্রধান অংশীজনদের কাছ থেকে সেই অর্থে মতামতই নেয়নি। সংস্কার তাহলে কার জন্য। দেশে বহু পরিবর্তন হচ্ছে, তবে শেয়ারবাজারে দায়িত্বশীলদের মানসিকতায় বদল দৃশ্যমান নয়। ১৯৯৩ সালে আইন করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বিএসইসি গঠিত হয়েছে। সংস্থাই শেয়ারবাজার ইস্যুতে সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক সংস্থা স্বাধীন। অথচ কথায় কথায় বিএসইসি নিজেই মন্ত্রণালয়ের শরণাপন্ন হচ্ছে। নিজের ক্ষমতাকে নিজেই খর্ব করছে। কমিশনের মতো বিশেষায়িত সংস্থায় প্রেষণে কর্মকর্তা আনা হচ্ছে।
প্রায় ৪০ বছরে সব খাতে কিছু না কিছু উন্নতি হয়েছে, শুধু শেয়ারবাজার ছাড়া। গত সপ্তাহে দেশে বড় বিনিয়োগ সম্মেলন হয়েছে। অথচ শেয়ারবাজারসংশ্লিষ্টদের সেখানে স্থান হয়নি।
গত ১৫ বছরে শেয়ারবাজার বিষয়ে যত আইন নীতি হয়েছে, তার সবই ছিল বাজারটিকে ছোট করার জন্য। এখন সংস্কার করার জন্য কমিটি হয়েছে। কমিটির সবাই যতই অভিজ্ঞ হোক না কেন, অংশীজনদের প্রকৃত মতামত না নিয়ে কীভাবে সংস্কার করছেন সেই প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক।

Tagged