দেশের পুঁজিবাজারে রাঘববোয়ালের অভাব নেই। নানা উপায়ে অনিয়ম করে তারা শত শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। তাই এসব অনিয়মের জন্য শুধু জরিমানা করে কার্যকর কিছু হবে বলে মনে হয় না। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এর জন্য আইনি সহায়তার দরকার হলে সরকারের সেটি করা উচিত। ইনসাইডার ট্রেডিং পুঁজিবাজারে পুরনো রোগ। এর জন্য কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা না হলে এটি বন্ধ হবে না।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বে লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের মূল্য সংবেদনশীল তথ্য আগাম জেনে শেয়ার কেনাবেচা বা ইনসাইডার ট্রেডিংয়ের দায়ে সাউথইস্ট ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান পরিচালক আলমগীর কবিরকে ১২ কোটি টাকা জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। একই কারণে আলমগীর কবিরের স্ত্রী এবং বে লিজিংয়ের বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক সুরাইয়া বেগমকে ৫ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। প্রতিষ্ঠাকালে আলমগীর কবির বিএসইসির সদস্য ছিলেন বলেও বিএসইসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
ইনসাইডার ট্রেডিংয়ের কারণে আলমগীর কবির এবং সুরাইয়া বেগমের জামাতা তুষার এলকে মিয়াকে আড়াই কোটি টাকা এবং সাউথইস্ট ব্যাংকের মালিকানাধীন মার্চেন্ট ব্যাংক সাউথইস্ট ব্যাংক ক্যাপিটাল সার্ভিসেসকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। এ ছাড়া বে লিজিংয়ের পরিচালনা পর্ষদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং কোম্পানি সচিবকে সতর্ক করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বে লিজিংয়ের মূল উদ্যোক্তা আলমগীর কবিরের ভাই শাহজাহান কবির। স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যরা এর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য। তাই পুঁজিবাজারে তাদের অনিয়মের বিষয়টি খাটো করে দেখার সুযোগ নেই।