নানামুখী কৌশলে দেশের পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের পকেট কাটা বন্ধ করতে হবে। বিনিয়োগকারীদের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সব বন্দোবস্ত প্রতিরোধ করতে হবে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বর্তমান নিয়ন্ত্রক সংস্থার অধীনে শেয়ারবাজারে খারাপ কোনো কোম্পানি আইপিওতে যা না আসতে পারে সেটি নিশ্চিত করার বিষয়ে জোর দিতে হবে। সেই সঙ্গে রাইট ও প্লেসমেন্টসহ নানা উপায়ে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অর্থ বের করে নেওয়ার পথও বন্ধ করা চাই। এসব বিষয় গুরুত্ব দিয়ে পদক্ষেপ নিতে পারলে বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসবে বলে বিশ্বাস করি। না হলে যেই লাউ সেই কদুই থেকে যাবে। নানা ছলে কারসাজি করে বিনিয়োগকারীদের ফাঁদে ফেলে যারা অর্থ হাতিয়ে নেয়, তারা দেশ ও দশের শত্রু। তারা যেন এ ধরনের অপ তৎপরতা চালাতে না পারে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের বিষয়ে সজাগ থাকাটাও প্রয়োজন। কারণ অনেক ক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতায় নিয়েই এসব অপকর্ম হয়। আইপিও অনুমোদনের সময় দুর্বল কাগজপত্র যারা ছাড় করিয়ে দেন, সেসব কর্মকর্তাকে জবাবদিহি ও আইনের আওতায় আনা উচিত। আমরা এসব আগেও বলেছি, বিনিয়োগকারী এবং পুঁজিবাজারের স্বার্থে ভবিষ্যতে বলবো। আমরা চাই একটি উন্নত পুঁজিবাজার গড়ে উঠুক।